National

মোষ, কুকুরের পর এবার ঘোটকী খোঁজার দায়িত্ব, সফল ভাবে পালন পুলিশের

এর আগে হারানো মোষ বা কুকুর সাফল্যের সঙ্গে খুঁজে এনে দিয়েছে পুলিশ। সেকথা উল্লেখ করে এবার পুলিশকে তাঁর ঘোটকী খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানালেন এক নেতা। এবারও সফল পুলিশ।

৮০ হাজার টাকা খরচ করে কালো ঘোটকী বা মাদি ঘোড়াটি কিনে এনেছিলেন তিনি। রেখেছিলেন যত্নে। গোটা শরীরটা কালো, খালি মুখের কাছটা সাদা। বড় সাধের ঘোটকী তাঁর। বাঁধা ছিল একটি মিলের কাছে। সেখান থেকেই গত ৫ নভেম্বর হারিয়ে যায় সেটি। তারপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ নেই।

তাই এবার সেই ঘোটকীর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে সেই ঘোটকীকে খুঁজে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানালেন উত্তরপ্রদেশের রামপুরের কংগ্রেস জেলা সভাপতি নাজিশ খান। তিনি পুলিশের এই পোষ্য খুঁজে দেওয়ার ক্ষমতার তারিফও করেছেন।


নাজিশ খান জানিয়েছেন, গত ২০১৪ সালে সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা মন্ত্রী আজম খানের ৭টি মোষ হারিয়ে গিয়েছিল। সেই ৭টি হারানো মোষ পুলিশ খুঁজে দেয় পাশিয়ারপুর ডেয়ারি থেকে। এরপর জেলাশাসক অমিত কিশোরের একটি পোষা কুকুর হারিয়ে গিয়েছিল। তাকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে খুঁজে দেয় পুলিশ।

নাজিশ খান সেসব ঘটনা তুলে ধরে বলেন, জেলার পুলিশ প্রশাসন তাঁর ঘোটকী খুঁজে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমান দক্ষতা দেখাক সেটাই তিনি চান।

পুলিশের তরফেও জানানো হয়, তারা ঘোটকীকে তার মালিকের কাছে পৌঁছে দিতে সবরকম চেষ্টা করবে। সেই চেষ্টায় ৩টি আলাদা দল তৈরি করে শুরু হয় ঘোটকী খোঁজা।

এই ঘোড়া খোঁজার কাজে নেমে সাফল্যও পায় পুলিশ। রামপুরের কোতোয়ালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর বীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন যে ঘোটকীটিকে খুঁজে পাওয়া গেছে।

বীরেন্দ্র জানান, ঘোটকীটিকে কাশীপুর আংরা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘোটকী নিখোঁজের ঘটনায় ৩ জন জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। সেই ৩ জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

প্রসঙ্গত গতবছর লাল লেজের একটি আফ্রিকান গ্রে প্যারট হারিয়ে গিয়েছিল। সেটির মালিক ছিলেন এক বিখ্যাত চিকিৎসক। তিনি পুলিশকে তাঁর সেই কাকাতুয়া খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button