State

মহিলার দেহের পাশে পড়ে রক্তমাখা বঁটি, ঘনীভূত রহস্য

বাড়িতে মানুষ বলতে থাকতেন স্বামী-স্ত্রী। স্ত্রী আয়ার কাজ করতেন। গত সোমবার তিনি বাড়িতেই ছিলেন। সকালে স্বামী তাঁর কাজে বেরিয়ে যান। কাজ সেরে রাতে টুকটাক বাজার করে বাড়ি ফেরেন স্বামী নেপাল বনিক। দরজায় কড়া নাড়েন। কিন্তু দরজা কেউ খোলেননি। ফোন করেন স্ত্রী যমুনাকে। কিন্তু ফোন বেজেই যায়। অবশেষে তিনি প্রতিবেশিদের ঘরে জিজ্ঞাসা করেন তাঁরা যমুনাদেবীকে দেখেছেন কিনা। তাঁরাও না বলেন। এরপর সময় নষ্ট না করে প্রতিবেশিদের সঙ্গে করেই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন নেপালবাবু। আর ভিতরে ঢুকেই কার্যত সকলেই আঁতকে ওঠেন। ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে যমুনাদেবীর নিথর দেহ। গলার নলি কাটা। পাশেই পড়ে আছে একটি রক্তমাখা বঁটি। পুলিশের অনুমান ওই বঁটি দিয়েই যমুনাদেবীর গলার নলি কাটা হয়।

কে যমুনাদেবীকে এভাবে হত্যা করল তা পরিস্কার নয়। তবে পুলিশের অনুমান তাঁর পরিচিত কেউই এই খুনের সঙ্গে জড়িত। সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ নন স্বামী নেপাল বনিকও। কারণ তিনি সকালে কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর যমুনাদেবীকে কেউ দেখেননি। অর্থাৎ তিনি বাড়ি থেকে বার হননি। তাহলে কী স্বামীই তাঁকে হত্যা করে তারপর সবকিছু স্বাভাবিক দেখাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন? এমন প্রশ্নও উঠছে।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। হত্যার সঠিক সময় জানা গেলে তদন্ত আরও দ্রুত এগোনো সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। নেপাল বনিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকও করেছে পুলিশ। এদিকে এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটাল তা জানতে চাইছেন স্থানীয় মানুষজনও।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *