World

নাক গলানো গর্ত করল কুমির, শরীরটা দেখা গেলেও ছোঁয়া গেলনা

গোটা কুমিরটাকে দেখা যাচ্ছে, তার ওপর দাঁড়ানোও যাচ্ছে। কিন্তু ছোঁয়া যাচ্ছেনা। সেই কুমিরই নাক গলানো গর্ত করে ফেলল। এও এক বাঁচার লড়াই।

একটা অতিকায় কুমির। যার ত্রিসীমানায় কেউ আসার কথা স্বপ্নেও ভাববেন না, তার গায়ের ওপরই প্রায় দাঁড়িয়ে পড়তে পারছিলেন মানুষজন। যদিও তার গায়ে স্পর্শ করা যাচ্ছিল না। দেখা যাচ্ছে, কিন্তু স্পর্শ করা যাচ্ছেনা। এমনই এক আজব পরিস্থিতির শিকার কুমিরটি।

এটা মনে করার কোনও কারণ নেই যে কুমিরটি কোনও গর্তে পড়ে গিয়েছিল। বরং স্বচ্ছ কাচের তলায় সে শুয়ে ছিল। যদিও তা কাচ নয় বরফ।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

আসলে সে যে জলাশয়ে ভেসে বেড়াত, সেই জলাশয় ঠান্ডায় গেছে জমে। আর জলাশয়ের জমা বরফের চাদরের তলায় রয়ে গেছে কুমিরটি।

হয়তো আগে থেকে আন্দাজ করতে পারেনি তার এমন দশা হবে। এদিকে জল জমে যাওয়ায় নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য অক্সিজেন ঢোকার জায়গা কোথাও নেই।

এই অবস্থায় বাঁচার জন্য পুরো বরফ ভেসে বার হতে না পারলেও নাক দিয়ে সে বরফের পুরু চাদরে একটা ফুটো করে দিতে পারে। সেই নাক গলানোর মত ফুটো দিয়ে সে নাকটুকু বার করে নিঃশ্বাস নিতে শুরু করে।

এও এক বাঁচার লড়াই। কারণ বাকি শরীরটা স্বচ্ছ বরফে ঢাকা পড়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে টেক্সাসে। বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য জানাচ্ছেন শীতল রক্তের প্রাণিরা এভাবেই শীতের দিনগুলোতে বেঁচে থাকার লড়াইটা লড়ে বেঁচে থাকে।

এই কুমিরটাও সেটাই করেছে। তবে কুমিরের এই জমা বরফের তলায় শরীর আর নাক দিয়ে বরফ ফুটো করে নিঃশ্বাসের কাহিনি ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *