National

বেড়াতে এসে বিশেষ ফোন দিয়ে মাকে ফোন, ছেলেকে পাকড়াও করল পুলিশ

স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে এসে মা কেমন আছেন তা জানতে ফোন করেছিলেন ছেলে। কিন্তু ওই ফোনই তাঁকে ধরিয়ে দিল পুলিশের হাতে।

স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে গেলে বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ মা বা বাবা কেমন আছেন তা জানার ইচ্ছা ছেলের হতেই পারে। সেজন্য অনেকেই বেড়ানোর জায়গায় পৌঁছে বাড়িতে ফোন করেন। বাবা মায়ের কুশল জানতে চান। এটাও জানান যে তাঁরা বেড়াতে এসে কেমন আছেন।

কিন্তু রাশিয়া থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে এসে মাকে বিশেষ ফোন দিয়ে ফোন করতেই পুলিশ তা জানতে পারে। কে এমন বিশেষ ফোনে ফোন করছেন তা জানার চেষ্টা করতেই ফোনটি কোথায় তা জানতে পারে পুলিশ। তারপর সেখানে পৌঁছে হাতেনাতে পাকড়াও করে ছেলেকে।


বেড়াতে এসে কেউ যদি বাড়িতে থাকা মাকে ফোন করেন সেটা কি অন্যায়? কখনওই তা হতে পারেনা। গোয়াতেও তা হয়না। তবু মাকে ফোন করেই গোয়া পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন রাশিয়ার ৪৯ বছরের মধ্যবয়সী ইলিয়াস আবদ্রাখিনভ।

কারণটা অবশ্যই মাকে ফোন করা ছিলনা। আপত্তি ওই ফোনটা নিয়ে যেটা তিনি ব্যবহার করেছিলেন। কারণ ফোনটা ছিল স্যাটেলাইট ফোন। আর ভারতে এভাবে স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ।

আবদ্রাখিনভ অবশ্য পুলিশকে জানান, তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান। সেখানে তিনি নিজের ওই স্যাটেলাইট ফোনটিও সঙ্গে নিয়ে যান। তা দিয়েই রাশিয়ায় পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

অনেক দেশেই এই ফোন ব্যবহার করায় কোনও বাধা নেই। তাই তিনি ভেবেছিলেন ভারতের গোয়াতে বেড়াতে এসেও ওই স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করা যাবে। তিনি ভুল স্বীকারও করে নেন।

যদিও পুলিশ বিষয়টি এখনই এতটা সহজভাবে দেখতে নারাজ। বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। আবদ্রাখিনভকেও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button