National

ধাপ্পার শিকার, বিভিন্ন স্টেশনে বসে ট্রেনের কামরা গুনে চলেছেন ২৮ যুবক

স্টেশনে কটা ট্রেন এল, কটা গেল সব গুনতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁদের সেটা করতে বলা হয়েছে। তাঁরাও কিছু না বুঝে তা করে চলেছেন ১ মাস ধরে।

বিভিন্ন স্টেশনে বসে আছেন তাঁরা। ঘড়ি ধরে ৮ ঘণ্টা ডিউটি! তবে কোনও টাকা তাঁরা এ জন্য পাবেন না। তাঁদের জানানো হয়েছে এটা তাঁদের ট্রেনিংয়ের অংশ। তাঁদের কাজ হল ওই স্টেশনে তাঁরা যে ৮ ঘণ্টা উপস্থিত থাকছেন তার মধ্যে কটা ট্রেন ঢুকছে, কটা বার হচ্ছে, প্রতিটি ট্রেনের কটা করে কামরা তা গুনে সেই তথ্য তালিকা দিন ভিত্তিতে তৈরি করে রাখা।

এভাবেই গত ১ মাস ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন ২৮ জন যুবক। অবশ্যই কারও এক স্টেশনে ডিউটি পড়েনি। বিভিন্ন স্টেশনে তাঁদের বসে থাকতে হচ্ছে।

তাঁদের এটাও জানানো হয়েছে টিকিট চেকার, সাধারণ কর্মচারির চাকরি তাঁরা পেতে চলেছে। তবে রেলের চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে ট্রেনিং নিতে হয়। সেই ট্রেনিংয়ের অংশ হল এই স্টেশনে বসে ট্রেন গোনা।

এই চাকরি পেতে ওই যুবকরা প্রত্যেকে নানা অর্থ প্রদান করেছেন। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকা তাঁদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে একদল ঠগ।

তারা তামিলনাড়ুর ওই যুবকদের আশ্বাস দেয় যে তাঁরা রেলে চাকরি পেয়ে গেছেন। ট্রেনিংটা শেষ করলেই চাকরি। ট্রেনিং নিচ্ছেন ভেবে ওই যুবকরাও মন দিয়ে ট্রেন গোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এঁরা অনেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে স্নাতক হয়েছেন। ২৮ জনই সুব্বুস্বামী নামে এক ব্যক্তিকে টাকা দিয়েছিলেন। তারপর তাঁদের ট্রেনিং হচ্ছে বলে ঠগেরা সকলকে বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন গুনতে বসিয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *