National

হাজার জনের বাস, তবু থেকেও নেই এই গ্রাম

প্রায় ১ হাজার মানুষ থাকেন এখানে। তবু এ গ্রাম থেকেও নেই। নেই এ গ্রামের কোনও অস্তিত্ব। খাতায় কলমে এমন কোনও গ্রামই নেই দেশে।

গ্রামের বাসিন্দা ১ হাজারের মত। কিন্তু গ্রামে কোনও স্কুল নেই। নেই কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এখানে কোনও বাস আসেনা। এখানে বসবাসকারীদের জন্য নেই কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। এ গ্রামে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতও নেই।

সব মিলিয়ে সরকারি খাতায় এই গ্রামের আর কোনও অস্তিত্বই নেই। অথচ এখানে মানুষের বাস রয়েছে। এমন এক ভৌতিক কাণ্ড ঘটে চলেছে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের সীমান্ত লাগোয়া হাজিপুরায়।

এখানে প্রতিবছর বন্যা হয়। বহু মানুষ আগে হাজিপুরা গ্রামে থাকলেও বন্যার ধাক্কায় ক্রমে অনেকে এই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। আর তারপরই এই গ্রামের নাম মুছে গেছে সরকারি খাতা থেকে। সরকারের কাছে হাজিপুরা একটি পরিত্যক্ত স্থান। তাই এর গ্রাম হিসাবে কোনও অস্তিত্বই নেই।

এখানে বসবাসকারী মানুষজন এখন ভোটদান করেন ভোকারেদি নগর পঞ্চায়েতের অধীনে। গ্রামে বসবাসকারী মানুষজন এখন তাঁদের সেই পূর্বতন গ্রামের মর্যাদা ফিরে পেতে চান। ভোটের সময় নেতারা ভোট চাইতে এসে সে প্রতিশ্রুতিও দিয়ে যান। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়না।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও গ্রাম ফিরে পেতে চিঠি দিয়েছেন প্রায় হাজার গ্রামবাসী। কিন্তু এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। ফলে এখনও থেকেও নেই এই গ্রাম।

এই নেই গ্রামে কিন্তু রয়েছে অনেকগুলি ঘর। সেখানে মানুষ পরিবার নিয়ে বসবাসও করছেন। তাঁরা তাঁদের বাসস্থানের অস্তিত্ব ফিরে পেতে কার্যত মরিয়া। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *