National

কুমিরের মুখ থেকে প্রাণ বাজি রেখে দাদাকে বাঁচিয়ে আনল ছোট ভাই

মৃত্যুর মুখে পৌঁছেও শেষ পর্যন্ত জীবন পেল ১৭ বছরের এক কিশোর। যার পুরো কৃতিত্ব প্রাণ বাজি রেখে কুমিরের মুখোমুখি হওয়া তার ছোট ভাইয়ের।

২ ভাই মাঠে কাজ করে হাতে লাগা মাটি ধুতে এসেছিল জমির কাছের একটি জলসেচের জন্য তৈরি খালের জলে। হাত ধোওয়ার সময় বড় ভাই ১৭ বছরের বিকাশ অনুভব করে যে তার পায়ে কিসের যেন টান পড়ল।

ঘুরে দেখে তার পা কামড়ে ধরেছে একটি প্রমাণ আকারের কুমির। কুমিরটি তাকে টেনে জলে নিয়ে যাচ্ছে। ওই অবস্থায় কুমিরের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য একাধারে সে চিৎকার শুরু করে।

সেইসঙ্গে কুমিরের মুখ থেকে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য গায়ে যত জোর ছিল তা কাজে লাগায়। কিন্তু কুমিরের শক্তির সামনে তার গায়ের জোর কোনও কাজই করতে পারেনি।

দাদাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কুমির। আর সামান্য সময়ের মধ্যেই কুমির তাকে টেনে নিয়ে জলে চলে যাবে। তার আগেই কিছু একটা করতে হবে।

কাছেই হাত ধুতে আসা বিকাশের ভাই ১৬ বছরের নীরজ আর সময় নষ্ট না করে কাছে থাকা একটি বিশাল পাথর তুলে নেয়। তারপর কুমিরের কাছে গিয়ে তার ওপর ছোঁড়ে সেটিকে।

পাথর গিয়ে সোজা লাগে কুমিরের গায়ে। অত বড় পাথর গায়ে আছড়ে পড়তেই কিছু একটা ভেবে কুমিরটি ছেড়ে দেয় বিকাশের পা। তারপর সময় নষ্ট না করে দ্রুত জলে মিলিয়ে যায়।

ভাই নীরজের সাহস করে কুমিরের কাছে গিয়ে এভাবে পাথর ছোঁড়ায় নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এল দাদা বিকাশ। ফিরে পেল প্রাণ।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটের মাধোতান্দা এলাকায়। এখানে বন্যার জেরে নদী থেকে কুমিররা ভেসে সেচের জন্য তৈরি খালগুলিতে ঢুকে পড়েছে।

এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। খালের ধারের জমিতে শুয়ে রোদ পোহাচ্ছিল কুমিরটি। বিকাশ তাকে দেখতে না পেয়ে তার খুব কাছে গিয়ে জলে নেমে হাত ধুচ্ছিল বলে জানিয়েছে নীরজ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *