National

বাবার মৃত্যুর ১৫ দিন পর ঝলসে মৃত ৩ বোন, ঘনীভূত রহস্য

মা মারা গেছেন অনেকদিন আগে। ১৫ দিন আগে মারা গেছেন বাবা পি গণপতি রাও। বাবার মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরেই কী তবে ১৫ দিন বাদে আত্মঘাতী হলেন ৩ বোন? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে পুলিশের মনে। নাকি এর পিছনে আরও জটিল কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে? কারণ যাই হোক ঘটনাটি মর্মান্তিক সন্দেহ নেই।

ওড়িশার মালকানগিরি জেলা সদরের তালশাহী এলাকার বাসিন্দা ৩ বোন রুণুকা রাও, মানেকা রাও এবং কে মাঙ্গা। অবিবাহিত এই ৩ বোনেরই ঝলসানো দেহ উদ্ধার হল তাঁদেরই ঘর থেকে। পুলিশ জানাচ্ছে,গত বুধবার সকালে রাজামুন্দ্রীতে গোদাবরীর জলে পিতার অস্থি বিসর্জন করতে যান মৃতাদের ২ ভাই। আরেক ভাই যান বাজার করতে। বাড়িতে ছিলেন সদ্য পিতৃহারা ৩ বোন। আচমকাই তাঁদের ঘর থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখেন প্রতিবেশিরা। প্রতিবেশিদের দাবি, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় ভিতরে ঢুকে ৩ যুবতীকে উদ্ধার করতে পারেননি তাঁরা। বরং দ্রুত দমকলে খবর দেন। কিন্তু দমকল যতক্ষণে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়, ততক্ষণে আগুনে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ বোনের।


পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাবার মৃত্যুর পর ২ ভাই ও ৩ বোনের কাঁধে এসে চেপেছে পারিবারিক ব্যবসার যাবতীয় দায়িত্ব। এদিকে ব্যবসার অবস্থাও খুব একটা ভাল নয়। সংসারে অর্থাভাবও প্রকট। এমন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করাটা আর সম্ভব হয়নি। তার সঙ্গে ছিল বাবাকে হারানোর শোক। সবমিলিয়ে ৩ বোন আত্মহত্যার চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। যদিও আত্মহত্যার তত্ত্বের পাশাপাশি এভাবে ঝলসে মৃত্যুর পিছনে আর কোনও কারণ লুকিয়ে আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।


Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button