National

আরও ছোট হয়ে গেল ঐতিহাসিক ছোট কুতুবমিনার

ছোট কুতুবমিনার হিসাবেই তার পরিচিতি। এবার তা আরও ছোট হয়ে গেল। এক অমর কীর্তির এই খাটো চেহারা দেখতে এখন মানুষের ঢল নামছে।

দিল্লির অন্যতম আকর্ষণ কুতুবমিনার। কুতুবউদ্দিন আইবকের হাত ধরে শুরু হওয়া এই মিনার বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ইটের স্তম্ভ। সেই কুতুবমিনারের আদলেই পরবর্তীকালে ১৬৫০ সালে সম্রাট শাহজাহান দিল্লিতেই তৈরি করেন আর এক কুতুবমিনার। যা মিনি কুতুব মিনার নামে পরিচিত।


মিনারটি লাল পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়। তবে তা কুতুবমিনারের মত অত উঁচু ছিলনা। ১৭ মিটারের এই মিনারটি সম্প্রতি নষ্ট হতে শুরু করায় তার মেরামতি শুরু হয়। সেই মেরামতির কাজ সবে সম্পূর্ণ হয়েছে। আর তা হওয়ার পর মিনারের উপরের বেশ কিছুটা অংশ বাদ দিতে হয়েছে।

ফলে ছোট কুতুবমিনার আরও ছোট হয়ে গেছে। তবে তার আকর্ষণ এতটুকুও হ্রাস পায়নি। বরং নতুন কলেবরে ফের দর্শকদের জন্য এই মিনি কুতুবমিনার খুলে দেওয়ার পর দর্শকদের ভিড় উপচে পড়ছে।



এই মিনি কুতুবমিনারে রয়েছে একটি সুড়ঙ্গ। রয়েছে উপর পর্যন্ত যাওয়ার জন্য সিঁড়ি। তবে খুবই অপরিসর সেই সিঁড়ি বেয়ে উপরে পৌঁছনো বেশ কঠিন কাজ।

তবে এই সুড়ঙ্গ, অপরিসর সিঁড়ি, মিনারের লাল পাথরের কাজ, এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব সবই দর্শকদের আকর্ষিত করার জন্য যথেষ্ট। তাই মনে করা হচ্ছে নতুন করে সাধারণের জন্য খুলে যাওয়ার পর এই মিনি কুতুবমিনারে ভিড় বাড়তেই থাকবে।

মিনারটির আর এক নাম হস্তসাল মিনার। হস্তসাল গ্রামের নামে এই মিনারটি নির্মিত হয়েছিল। মিনারটি যাতে রাতেও ভাল করে দেখা যায় সেজন্য পর্যটক থেকে স্থানীয় মানুষ, সকলেই পর্যাপ্ত আলোর বন্দোবস্ত করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button