Kolkata

পুলিশের কাছে মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর কথা স্বীকার করলেন বিক্রম

দুর্ঘটনার পর মিডিয়ার সামনে এসে দাবি করেছিলেন যে তিনি সেদিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন না। গাড়ির গতি বা তাঁর মত্ত অবস্থায় থাকা নিয়ে সংবাদমাধ্যম যা বলছে তা ভুল। গত মঙ্গলবার রাতে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে টালিগঞ্জ থানায় পুলিশের ম্যারাথন জেরার মুখে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন মদ্যপানের কথা। সেদিন যে তিনি পার্টিতে মদ্যপান করেছিলেন তা স্বীকার করে বিক্রম দাবি করেছেন তিনি মদ্যপান করলেও বেসামাল ছিলেন না। গাড়ি চালানোর মত অবস্থায় ছিলেন। তবে কি গাড়িতে অন্য গাড়ি ধাক্কা মেরেছিল? কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? বিক্রমের বাবা একসময়ে দাবি করেছিলেন এক অ্যাপ নির্ভর ভাড়াগাড়ির চালক তাঁকে বলেছেন গলি থেকে একটি গাড়ি আচমকা বেরিয়ে আসায় বিক্রমের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায়। কিন্তু পুলিশের কাছে তেমন কিছু বলেননি বিক্রম। সূত্রের খবর, অভিনেতার দাবি সঠিক কারণ না বলতে পারলেও তাঁর ধারণা গাড়ির চাকা ট্রাম লাইনে পিছলে যাওয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে সেসময়ে অন্য কোনও গাড়ির কথা তাঁর মনে পড়ছে না। মঙ্গলবার রাতে জেরার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ফের এদিন দুপুর ২টো থেকে টালিগঞ্জ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের। টানা ৪ ঘণ্টা জেরার পর সন্ধে ৬টা নাগাদ থানা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পর বিক্রম কোথায় কাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সে বিষয়ে জানতে চান পুলিশ আধিকারিকরা। গত ২৯ এপ্রিল গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারাতে হয় মডেল সনিকা সিং চৌহানকে। সেই গাড়ির স্টিয়ারিং ছিল বিক্রমের হাতে। ইতিমধ্যেই সনিকা ও বিক্রমের হয়ে গলা ফাটানোর দুটি গ্রুপ হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুকে খোলা হয়েছে সনিকার মৃত্যুর বিচার চেয়ে ‘জাস্টিস ফর সনিকা’ পেজ। এদিকে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন কাছাকাছি হাসপাতাল ছেড়ে বিক্রম দুর্ঘটনার রাতে রক্তাক্ত সনিকাকে নিয়ে রুবি হাসপাতাল গেলেন তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। এর আগেই পার্টিতে বিক্রমের মদের গ্লাস হাতে ছবি পোস্ট করেছিলেন সনিকার বেশ কয়েকজন বন্ধু।

 

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button