State

আইপিএস অফিসারকে প্রকাশ্যে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করলেন রাজ্যপাল

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিনে গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের গান্ধী ঘাটে। সেখানে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর সকলের সামনে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে। মনোজ বর্মাকে ভর্ৎসনার সময় সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশের অন্য কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে একজন আইপিএস আধিকারিক রাজ্যপালের কাছে কার্যত প্রবল ভর্ৎসনার শিকার হন।

রাজ্যপাল জিজ্ঞেস করেন, মনোজ বর্মা কেন সামনের সারিতে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলেন? তিনি উর্দি পড়ে যদি এমন করেন তাহলে অন্যরা কি শিখবে? মনোজ বর্মার লজ্জা হওয়া উচিত বলে জানান রাজ্যপাল। মনোজ বর্মাকে তখন শান্তভাবে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালের এই ভর্ৎসনা শুনতে দেখা গেছে।


পরে রাজ্যপাল প্রবল ক্ষোভের সুরেই সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। রাজ্য জুড়ে হিংসা চলছে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের দিনের প্রসঙ্গও টানেন রাজ্যপাল। বলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের দিনই বা পুলিশ কোথায় ছিল? এদিন রাজ্যপালকে স্বভাবসিদ্ধ কথা বলার বাইরে গিয়ে প্রবল ক্ষোভ উগরে দিতে দেখেন অনেকেই।


রাজ্যপালের পুলিশ কর্তা মনোজ বর্মাকে ভর্ৎসনা করাকে কিন্তু ভাল চোখে নেয়নি পুলিশের একটি মহল। বিশেষত পুলিশ কর্তারা এটাকে খুব একটা মেনে নিতে পারছেন না। এভাবে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনাকে অপমান বলেই মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে ফের দাবি করা হয়েছে রাজ্যপাল একটি বিশেষ দলের হয়ে কথা বলছেন। রাজ্যপাল সুলভ আচরণ করছেননা।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button