State

জঙ্গলে ঘাপটি মেরে আছে বাঘমামা, গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ল ছবি

লালগড়ের জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার! প্রথম দিকে কেউ তেমন গুরুত্ব দেননি। হতেই পারেনা। কিন্তু স্থানীয় মানুষজনের মনে একটা ভয় দানা বাঁধছিল। দানা বাঁধার কারণও ছিল। বাঘের পায়ের ছাপ দেখেছেন তাঁরা। কয়েকজন গ্রামবাসী বেশ জোর দিয়েই বলেন তাঁরা জঙ্গলে যে জন্তুকে দেখতে পেয়েছেন তা বাঘ ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু বন দফতর প্রথম দিকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চায়নি। বন দফতরের আধিকারিকদের জ্ঞান বলছিল লালগড়ের জঙ্গলে বাঘ থাকতেই পারেনা। কখনও এমন হয়নি। অবশ্য বারবার গ্রামবাসীদের তরফ থেকে বাঘ নিয়ে আতঙ্কের কথা শুনে অবশেষে নিশ্চিত হতে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসান তাঁরা। ৭টি ক্যামেরা বসানো হয় লালগড়ের জঙ্গলে। আর তাতেই ধরা পড়ে বাঘ।


শুক্রবার ভোররাতে বিভিন্ন ক্যামেরায় পূর্ণ বয়স্ক একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ধরা পড়েছে। যা দেখে কার্যত তাজ্জব বন দফতরের আধিকারিকরা। এল কোথা থেকে এই বাঘ? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ব্যস্ত তাঁরা। তাঁদের ধারণা ওড়িশা বা ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল থেকে অনেকটা পথ অতিক্রম করে খাদ্যের সন্ধানে লালগড়ের জঙ্গলে হাজির হয়ে থাকতে পারে বাঘটি। এদিকে একবার যখন বাঘের দেখা মিলেছে তখন নিশ্চিতরূপে সেটা আতঙ্কের কথা। ফলে গ্রামবাসীদের সাবধান করা হয়েছে। আগামী শনিবারই বাঘ ধরতে খাঁচা পাতছে বন দফতর।



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button