State

দিঘার পথে শেষ ৪টি তরুণ প্রাণ

উত্তর ভারত জুড়েই এখন গাড়ি চালকদের জন্য অসুরের ভূমিকা নিয়েছে ঘন কুয়াশা। যা রাতে আর সকালে সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে স্টিয়ারিং হাতে থাকা মানুষজনকে। কুয়াশার মোটা চাদর ভেদ করে সামনের রাস্তা দেখা প্রায় সম্ভবই হচ্ছেনা। ফলে ঘটে যাচ্ছে একের পর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যেমনটা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। দিঘা তখন আর বেশি দূর নয়। কিন্তু গাড়িতে থাকা তরুণদের ৪ জনের আর সেই দিঘা যাওয়া হল না।

জানা গেছে, বুধবার রাতে ৬ বন্ধু মিলে একটি গাড়িতে চাপেন। গাড়িটি তাঁদেরই একজনের। দীপঙ্কর নামে ওই যুবক নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সকলেই হুগলির খানাকুলের বাসিন্দা। সকলেই যাচ্ছিলেন দিঘায়। পরিকল্পনা ছিল সারারাত গাড়ি চালিয়ে ভোরে দিঘা পৌঁছে যাওয়া। সেইমত তাঁরা হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিলেন। গাড়ি চলছিল নিজের ছন্দে। রাত তখন প্রায় ৩টে। গাড়িটি পৌঁছয় তমলুকে। তমলুকের ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর তখন কুয়াশার চাদর ছিল।


পুলিশ মনে করছে ঘন কুয়াশা থাকায় চালক সামনে থাকা লরিটি দেখতে পাননি। ফলে গতিতে গাড়িটি লরির পিছনে ধাক্কা মারে। লরির পিছনেই আটকে যায় সেটি। ভয়ংকর এই দুর্ঘটনায় ৪ বন্ধুর প্রাণ যায়। পুলিশ ৬ জনকেই উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠায়। সেখানেই ৪ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ২ জনের চিকিৎসা চলছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button