National

ক্লাসের মধ্যেই দশম শ্রেণির ছাত্রীকে সালোয়ার খোলালেন শিক্ষিকা

ভোপালের কাছে দামো-তে এক দলিত ছাত্রীকে ক্লাসের মধ্যেই সালোয়ার খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার তাদের ক্লাসের এক ছাত্রীর ৭০ টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে শিক্ষিকার কাছে অভিযোগ জানায়। সকলের ব্যাগ পরীক্ষা করেও কিছু না পাওয়ায় যে কোনও কারণেই হোক ওই দলিত ছাত্রীটির ওপর সন্দেহ গিয়ে পড়ে শিক্ষিকার। এমনকি টাকা না পাওয়া গেলে দরকারে তান্ত্রিক ডেকে টাকা কার কাছে আছে তা খুঁজে বার করা হবে বলেও ভয় দেখান তিনি। দলিত ছাত্রীটি তখন শিক্ষিকাকে জানায় যে তার কোনও ভয়ের কারণ নেই। শিক্ষিকা চাইলে তান্ত্রিক ডেকে টাকা কে চুরি করেছে তার খোঁজ করতেই পারেন।

এতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন শিক্ষিকা। একঘর পড়ুয়ার মাঝেই ওই ছাত্রীকে সালোয়ার খুতে নির্দেশ দেন। সালোয়ারের নিচে কোথাও সে টাকা লুকিয়ে রেখেছে কিনা তা পরীক্ষা করতে ওই ছাত্রীকে সবার সামনে সালোয়ার খুলতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর কাছে ঘটনাটি কতটা অসম্মানজনক তা সহজেই অনুমেয়।


রাতে বাড়ি ফিরে সে খেতে পারছিল না। কারণ জিজ্ঞাসা করায় বাবা-মায়ের কাছে সব খুলে বলে ওই ছাত্রী। তার সাথে অপর এক ছাত্রীকেও একই ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে সে। পরে ঘটনা জানাজানি হওয়ায় জেলার শিক্ষা আধিকারিক দামোর সব মহিলা প্রধান শিক্ষিকাদের নিয়ে একটি প্যানেল তৈরি করেছেন। যারা পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখবে। ওই ছাত্রীর পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করলেও, অভিযুক্ত শিক্ষিকা জ্যোতি গুপ্তা দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলার শিক্ষা আধিকারিক।


Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button