National

ছাত্রীদের ব্রা খুলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করার ঘটনায় ছাড় পেলেননা সহ অধ্যক্ষ, পর্যবেক্ষক

নিট পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রীদের ব্রা পরীক্ষা হলের বাইরে খুলে রেখে দিয়ে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। এবার সেই ঘটনায় নয়া মোড়।

গত রবিবার ছিল ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা নিট পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় বিভিন্ন সেন্টারে পরীক্ষা গ্রহণ হয়। তারই একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৭ বছরের ওপর বয়সী কিশোরী ছাত্রীরা যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় তা তারা ভুলতে পারবেনা।


ছাত্রীদের পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে পরীক্ষা করার সময় তাদের ব্রায়ের হুকের কারণে ধাতব কিছু থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দায়িত্বে থাকা সুরক্ষাকর্মীরা। হলে আসা ৯০ শতাংশ ছাত্রীর ব্রায়েই ধাতব হুক থাকে। তাদের ব্রা খুলে তবেই পরীক্ষা দিতে হবে বলে জানানো হয়।

আপত্তি করলে ছাত্রীদের বলা হয় তাদের কাছে কোনটা বেশি প্রাধান্য যোগ্য, ব্রা না পরীক্ষা? অগত্যা ছাত্রীরা একটি ঘরে ব্রা ছেড়ে রেখে পরীক্ষায় বসতে বাধ্য হয়। অনেক ছাত্রী এই অবস্থায় কেঁদেও ফেলে।



এভাবে অন্তর্বাস ছাড়া পরীক্ষা দিতে বসে তাদের অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। অনেকে মাথার চুল টেনে সামনে এনে লজ্জা নিবারণের চেষ্টা করে।

৩ ঘণ্টা এভাবেই অন্তর্বাস ছাড়া পরীক্ষা দিতে হয় তাদের। তারপর একসঙ্গে দলা পাকিয়ে রাখা তাদের ব্রাগুলি থেকে নিজের নিজের ব্রা খুঁজে নিয়ে তা হাতে করেই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বার হতে বলা হয় তাদের।

এই ঘটনায় অধিকাংশ ছাত্রীই পরীক্ষা মন দিয়ে দিতে পারেনি। মানসিকভাবেও তারা বিধ্বস্ত। ৩ জন অভিভাবক এই ঘটনা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।

এই ঘটনায় পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা দাবি করে পুরোটাই মিথ্যা। এমন ঘটনা ঘটেনি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।

ঘটনায় ওই কেন্দ্রে ছাত্রীদের পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ৩ মহিলা সহ ৫ জন মহিলাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার তারা আরও একধাপ এগিয়ে কেরালার তিরুবনন্তপুরমের কাছে আয়ুর নামে জায়গার ওই কেন্দ্র মারথোমা ইন্সটিটিউটের সহ অধ্যক্ষ এবং ওই কেন্দ্রে নিট পরীক্ষার পর্যবেক্ষককে গ্রেফতার করল। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button