National

১৫ মাসের লড়াই শেষ, আন্দোলনে ইতি টেনে ফিরতে চলেছেন কৃষকরা

১৫ মাস ধরে রোদ, বৃষ্টি, ঠান্ডা উপেক্ষা করে তাঁরা ঠায় বসে থেকেছেন দিল্লি সীমান্তে। অবশেষে সেই এলাকা ফাঁকা করে দিতে চলেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা।

দেশের ৩ নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই চালিয়ে গেছেন কৃষকরা। রাতদিন এক করে দিল্লি সীমান্তে ঠায় বসে থেকেছেন তাঁরা।

প্রধানত পঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে কৃষকরা একত্রিত হলেও পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন দেশের ভিন্ন সীমান্ত থেকে আসা কৃষকরা। নানা প্রতিরোধ এলেও আন্দোলনে স্থির থেকেছেন কৃষকরা। তাঁদের আন্দোলন একের পর এক মাস কাটিয়ে ১৫ মাস শেষে করেছে।

হালে তাঁদের আন্দোলনের সামনে কার্যত হাল ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু তারপরেও প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক আশ্বাসে আন্দোলন তোলেননি কৃষকরা। তবে সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে নয়া ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের উদ্যোগে অবশেষে তাঁরা আশ্বস্ত হলেন।

কৃষক নেতারা এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে তাঁরা দিল্লি সীমান্ত খালি করা শুরু করে দেবেন। সকলে ফিরে যাবেন।

প্রসঙ্গত ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবির পাশাপাশি কৃষকরা এই আন্দোলনে ফসলের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য নিশ্চিত করার জন্য আইনি রক্ষাকবচেরও দাবি করেছিলেন। সে বিষয়ে কেন্দ্র একটি কমিটি গড়ার আশ্বাস দিয়েছে।

১১ ডিসেম্বর বিজয় মিছিল করার কথাও জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। ওইদিন সকাল ৯টায় দিল্লির সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমান্তে ২টি বিজয় মিছিল হবে। পঞ্জাবের কৃষকরা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে বিশেষ প্রণাম অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *