National

করোনায় মৃত বাবার সমাধির ওপর জন্মদিন পালন করল মেয়ে

বাবার প্রাণ কেড়েছে করোনা। সেই কষ্ট বুকে করে বাবার সমাধির ওপর জন্মদিন পালন করল মেয়ে। বাবার সঙ্গে জন্মদিন পালন করার এই ভিডিও প্রচুর মানুষের মনে দাগ কেটেছে।

চারধারে ক্ষেত জমি। তার মাঝেই রয়েছে একটি মাটির ঢিবি। সেখানেই সমাধিস্থ রয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁরই ক্ষেত জমিতে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল গত মে মাসে।


ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে সেই সমাধির ওপর রাখা রয়েছে একটি সুন্দর চকলেট কেক। আর সেই কেকের সামনে বসে একটি ছোট্ট মেয়ে। বয়স মাত্র ৮ বছর।

পরনে একটা সাদা ও নীল রঙের জামা। তার জন্মদিনে সে সেজেছে সুন্দর করে। কেক কাটার জন্য তৈরি। বাবা মারা গেছেন তো কি হয়েছে।



ছোট্ট স্পন্দনা চেয়েছিল এবার সে অন্যান্য বারের মত বাবার সঙ্গেই জন্মদিন পালন করবে। তাই জন্মদিনের কেক সে কাটল ওই সমাধির ওপর রেখেই। তারপর কেকের প্রথম টুকরোটা রাখল সমাধির ওপর। প্রার্থনা করল আপনমনে।

গত মে মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেক মানুষের সঙ্গে কেড়ে নেয় স্পন্দনার বাবা মহেশ কোসানাগারাকে। মৃত্যুর পর তাঁদের খেত জমিরই একধারে সমাধিস্থ করা হয় মহেশকে।

সেই সমাধির ওপর মাত্র ৩ মাস পর জন্মদিন পালন করল তাঁর মেয়ে। বাবার সঙ্গে জন্মদিন পালনটা সে ভুলতে পারেনি।

তাই এবার জন্মদিন আসার আগেই সে জানিয়ে দিয়েছিল বাবার সমাধিতেই সে পালন করবে জন্মদিন। কাটবে কেক। বাড়ির লোকজন তাতে না করেননি।

এই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ভিডিও চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। দেখার পর অনেকেই তাঁদের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button