National

ছেলেকে হত্যা করে তার পাশে রাত কাটাল বাবা

ছেলেকে হত্যা করে তার পাশে সারা রাত শুয়ে রইল বাবা। শুয়ে ঘুমিয়েও পড়ল। সারা রাত মৃত ছেলেকে পাশে নিয়েই নিদ্রামগ্ন রইল মধ্যবয়সী ব্যক্তি।

কানপুর (উত্তরপ্রদেশ) : রবিবার সকালে শোওয়ার ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে ডাকে ৪৩ বছরের ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তি। স্বামীর ডাকে ঘুম ভাঙে স্ত্রীর। তিনি উঠে বসেন। স্বামী জানায় তার কিছু বলার আছে। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী সারিকা স্বামীর কাছে জানতে চান সে কী বলতে চায়।

সারিকার দাবি, তাঁর স্বামী অলংকার শ্রীবাস্তব তাঁকে জানায় সে তাদের ছেলেকে হত্যা করেছে। ৭ বছরের ছেলেকে শনিবার রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে সে। তারপর ছেলের দেহ নিয়ে তাদের বসার ঘরে চলে যায়। সেখানেই ছেলের নিথর দেহের পাশে সারারাত ঘুমোয়।

সকালে ঘুম ভাঙার পর সে স্ত্রীর কাছে এসে সব জানাচ্ছে। এই ঘটনা শোনার পর হতবাক হয়ে যান স্ত্রী সারিকা। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা তাঁর কল্পনার অতীত।

শোকস্তব্ধ মা দ্রুত খবর দেন পরিবার পরিজনদের। ঘটনার কথা তাঁদের জানান তিনি। খবর যায় প্রতিবেশিদের কানেও। অলংকার শ্রীবাস্তব কিন্তু কোথাও পালানোর চেষ্টা করেনি। সে বাড়িতেই ছিল। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে ওই ব্যক্তি কয়েক মাস আগে তার চাকরি খোয়ায়। তারপর থেকে ক্রমশ মানসিক অবসাদে চলে যাচ্ছিল সে। শ্রীবাস্তব পরিবারের ওই ছেলেটি ছাড়াও ২ কন্যা রয়েছে। এদিকে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকারও করেছে। সারিকার অভিযোগক্রমে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু এখনও গোটা পরিবার শোকের মধ্যে রয়েছে। কথা বলার মত অবস্থায় নেই। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে চরম অবসাদ থেকেই এই পদক্ষেপ করেছে ওই ব্যক্তি।

কিন্তু সেদিন ঠিক কী হয়েছিল? কেন সে তার ছেলেকে হত্যা করল? সবটা খতিয়ে দেখতে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *