National

১৬ বছরের কিশোরীকে টেনে নিয়ে গেল বাঘ

নিঃশব্দেই হাজির হয়েছিল সে। মেয়েটি ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেনি যে কি বিপদ এগিয়ে আসছে তার দিকে। যখন বিপদ ঝাঁপিয়ে পড়ল তখন আর কিছু করার ছিল না তার।

হায়দরাবাদ : বাঘের হানা বেড়েই চলেছে। ভারতের যেখানেই বাঘ রয়েছে, সেখানেই নানা ঘটনা বারবার সামনে আসছে। মানুষ অনেক সময়ই তাদের নিশানা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত রবিবার তুলো সংগ্রহ করতে মাঠে গিয়েছিল ১৬ বছরের নির্মলা। ষোড়শী ওই কিশোরী আগেও বহুবার মাঠে এসে মাঠের কাজ সেরেছে।

মাঠের কাছাকাছি একটি জঙ্গল রয়েছে। সে জঙ্গলে যে বাঘ রয়েছে তাও সকলের জানা। তবু মাঠের কাজে কোনও সমস্যা কখনও হয়নি। চাষাবাদে কোনও সমস্যা হয়নি। নির্মলাও তাই নিশ্চিন্তেই মাঠে কাজ করছিল।

নির্মলার জানা ছিলনা তার পিছনে অপেক্ষা করছে ভয়ংকর বিপদ। আচমকাই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি বাঘ। তারপর তাকে টেনে নিয়ে যায়। বাঘের হাত থেকে নিজেকে আর ছাড়িয়ে উঠতে পারেনি নির্মলা।

নির্মলাকে টানতে টানতে বাঘটি প্রায় ৫০ মিটারের ওপর মাঠ অতিক্রম করে যায়। প্রায় তাকে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। ঠিক সে সময় মাঠে কর্মরত কয়েকজন যুবক বিষয়টি দেখে বাঘটিকে তাড়া করা শুরু করেন।

এতজন যুবক তাড়া করেছেন। তাকে লক্ষ্য করে যা হাতের কাছে পাচ্ছেন তাই ছুঁড়ছেন। এতে কিছুটা বোধহয় ভয় পেয়ে যায় বাঘটি। ফলে ৫০ মিটার টেনে নিয়ে যাওয়ার পর আর নির্মলাকে জঙ্গলের ভিতর টেনে নিয়ে যেতে পারেনি সে।

বরং সেখানেই নির্মলার দেহটা ফেলে সে চম্পট দেয় জঙ্গলের মধ্যে। দ্রুত সকলে নির্মলাকে উদ্ধার করলেও ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়ে গিয়েছিল।

ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার আসিফাবাদ জেলার কোন্দাপল্লী গ্রামে। এই একই রকম ঘটনা এই জেলাতেই ঘটেছে গত ১১ নভেম্বর। এখানকার গিরেল্লি জঙ্গলের পাশের একটি গ্রাম থেকে এক ২০ বছরের আদিবাসী যুবককে তুলে নিয়ে যায় একটি বাঘ।

মাছ ধরছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে টেনে নিয়ে যায় বাঘটি। পরে তাঁর আধ খাওয়া দেহ উদ্ধার হয় জঙ্গল থেকে। এটা অবশ্য পরিস্কার নয় যে ওই যুবক ও এদিনের কিশোরীকে একই বাঘ আক্রমণ করেছিল কিনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *