National

পুরোহিতের ভবিষ্যতবাণীতে সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পেটে বুকে লাঠি পেটা স্বামীর

পুরোহিতের করাল ভবিষ্যতবাণী শোনার পর স্ত্রীকে বেদম প্রহার করল এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বদায়ুঁ (উত্তরপ্রদেশ) : সংসারে অশান্তি ছিলই। কারণটা ছিল ৫ মেয়ে। পরপর ৫টি কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীকে মাঝেমধ্যেই নাকি মারধর করত স্বামী। এমন অভিযোগ মহিলার বাপের বাড়ির লোকজনের। এরমধ্যেই ওই মহিলা ফের সন্তানসম্ভবা হন। ৪ মাস সন্তানসম্ভবা অবস্থায় সাবধানে থাকছিলেন তিনি।


এদিকে এবারও কি কন্যা সন্তানই আসতে চলেছে পরিবারে। একথা জানতে এক পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলেছিল মহিলার স্বামী। সেই পুরোহিত তাকে জানায় ষষ্ঠ যে সন্তান তাদের পরিবারে আসতে চলেছে সেও মেয়েই হতে চলেছে।

পুরোহিতের ভবিষ্যতবাণী শোনার পর গত শনিবার মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরে পেশায় শ্রমিক ৪৩ বছরের পান্নালাল। বছর ৪০-এর স্ত্রী অনিতাদেবী তখন ঘরেই ছিলেন।



সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর কাছে গিয়ে পান্নালাল জানিয়ে দেয় তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকে নষ্ট করতে হবে। গর্ভপাত করাতে হবে তাঁকে। স্বামীর এই কথা শোনার পর অনিতাদেবী সাফ জানিয়ে দেন তিনি গর্ভপাত কিছুতেই করাবেন না। ২ জনে ঝগড়া শুরু হয়।

ঝগড়ার মধ্যেই পান্নালাল একটি মোটা লাঠি তুলে নেয়। তারপর তা দিয়ে সপাটে আঘাত করে স্ত্রীর পেটে। যন্ত্রণায় কাতরে ওঠেন স্ত্রী। কিন্তু থেমে থাকেনি পান্নালাল। সে স্ত্রীর পেটে বেশ কয়েকবার লাঠির আঘাত করার পর স্ত্রীর বুকে আঘাত করতে থাকে লাঠি দিয়ে।

অনিতাদেবীর আর্ত চিৎকার শুনে ততক্ষণে আশপাশের বাসিন্দার হাজির হন সেখানে। তাঁরাই ওই মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ওই সন্তানসম্ভবা মহিলার পরিস্থিতি দেখে দ্রুত তাঁকে বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এরপর তাঁকে বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এখনও অনিতাদেবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ওই মহিলার গর্ভস্থ সন্তানের পরিস্থিতি এখনও জানতে পারা যায়নি। তবে তাঁর বুক ও পেটের আঘাত ভয়ংকর বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

ঘটনার পর অনিতাদেবীর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পান্নালালকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button