National

কাঠচেরাই মেশিনে চেরাই হয়ে গেলেন প্রৌঢ়

কাঠচেরাই কারখানায় বড় বড় কাঠের গুঁড়িকেও মাপে মাপে টুকরো করে ফেলে মেশিন। পুরোটাই স্বয়ংক্রিয়। কেবল শ্রমিকরা কাঠকে যেখান থেকে কাটতে হবে তা মেশিনে ফেলে দেন। তারপর মেশিন তা কেটে টুকরো করে দেয়। সেই মেশিনেই কাঠচেরায়ের কাজ করছিলেন ৫৫ বছরের রাম সুমার গুপ্তা। ওই মেশিনে তখন তিনি একাই কাজ করছিলেন। শীতের দিন তাই গায়ে ছিল সোয়েটার। গলায় মাফলার। আর সেটাই কাল হল।


আচমকাই রাম সুমারের গলায় জড়ানো মাফলার চেরাই মেশিনে জড়িয়ে যায়। টান পড়ে গলায়। শক্তিশালী মেশিন মাফলারের সঙ্গে সঙ্গে টানতে থাকে ওই প্রৌঢ় শ্রমিককে। তিনি চেষ্টা করছিলেন নিজেকে সামলাতে। কিন্তু তাঁর গলায় মাফলার এমনভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল যে তিনি তা ছাড়াতে পারেননি। অবশেষে তাঁকে টেনে নেয় মেশিন। তারপর চিরে ফেলে তাঁর দেহ। অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন রাম সুমার গুপ্তা। তাঁর চিৎকার শুনে সেখানে ছুটে আসেন অন্য শ্রমিকরা।

সহকর্মীকে এভাবে শ্ মিলের চেরাই মেশিনে কাটা পরতে দেখে দ্রুত তাঁরা মেশিনের সুইচ বন্ধ করে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মেশিন থেকে ছাড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রাম সুমারকে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এটা নিছকই দুর্ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। তবে অন্য কোনও সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেনা তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button