Kolkata

বাঘছাল পাচারের ছক ভেস্তে গেল হোটেলে

খবরটা গোপন সূত্র মারফত পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর পূর্বাঞ্চলীয় দফতরে। খবর ছিল রাজ্য সরকারের বন বিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের কাছেও। এই ২ দফতরের আধিকারিকরা জোট বেঁধে কাউকে কিছু জানতে না দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় হানা দেন বাইপাসের ধারের একটি হোটেলে। আর সেখানেই বামাল সমেত হাতেনাতে পাকড়াও করেন ৩ জনকে।

ধৃত ৩ জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি বাঘের ছাল। বাঘের চামড়ার দাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যথেষ্ট। সেখানেই এই বাঘছাল পাচারের ছক কষেছিল ৫২ বছরের অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়, ৫৭ বছরের তারক হালদার এবং ৪২ বছরের ইব্রাহিম মণ্ডল। এদের ৩ জনকে ওই হোটেলের ঘর থেকে বাঘের ছাল সহ গ্রেফতার করা হয়।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই পাচারের সঙ্গে আর কারা জড়িত, এর জাল কত পর্যন্ত বিস্তৃত, কীভাবে এই বাঘ ছাল তারা পেয়েছিল, চোরা শিকার কোথায় করা হচ্ছে, এসব প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। বন্যপ্রাণিদের ছাল বা গণ্ডারের ক্ষেত্রে শিং, হাতির ক্ষেত্রে তার দাঁতের মূল্য বিদেশের বাজারে বিশাল। এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রায়শই পুলিশ বা বন বিভাগের আধিকারিকরা এসব চোরাচালানকারীদের বামাল সমেত পাকড়াও করছেন। প্রশ্ন হল যা পাকড়াও হচ্ছে তা তো হচ্ছে, কিন্তু এছাড়াও কত নজর এড়িয়ে সত্যিই পাচার হয়ে যাচ্ছে তার পরিমাণ নিয়ে। নাকি এমন কিছুই হতে দিচ্ছেন না আধিকারিকরা। তার আগেই ঠিক তাঁরা পাকড়াও করে নিচ্ছেন অপরাধীদের। প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *