National

পশ্চিমবঙ্গের ৬ শ্রমিককে গুলি করে মারল জঙ্গিরা

পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকেই শ্রমিকের কাজ করতে ভিন রাজ্যে যান। দিনের পর দিন সেখানে থেকে রোজগার করেন। তেমনই শ্রমিকের কাজ করতে মুর্শিদাবাদ থেকে জম্মু কাশ্মীরের কুলগামে পাড়ি দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। পাড়ি দেওয়ার সময় ভেবেছিলেন ওখান থেকে কিছু অর্থ উপার্জন করে সংসারের প্রয়োজন মেটাবেন। কিন্তু সেই পাড়ি দেওয়াই শেষ পাড়ি দেওয়া হল ৬ জনের। জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল তাঁদের দেহ।

কুলগামের কুতরুসা গ্রামে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করে সেখানেই থাকছিলেন ওই শ্রমিকরা। ওখানেই একটি নির্মাণে কাজ করছিলেন তাঁরা। শ্রমিকদের সেই অস্থায়ী ঠিকানাতেই মঙ্গলবার হানা দেয় জঙ্গিরা। তারপর তুলে নিয়ে যায় ৬ জনকে। এঁদের মধ্যে ৫ জনকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় তারা। ১ জন শ্রমিক কোনওক্রমে জঙ্গিদের হাত ছাড়িয়ে পালাতে সক্ষম হলেও তাঁকে পালাতে দেখে গুলি চালায় জঙ্গিরা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই শ্রমিকের।

মুর্শিদাবাদের এই ৬ শ্রমিকের মৃত্যু সেখানে শোকের ছায়া নামিয়ে আনে। এদিকে জঙ্গিদের খোঁজে এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা। গোটা গ্রাম ঘিরে চলছে তল্লাশি। জঙ্গিরা কোথায় লুকিয়ে আছে তা বোঝার চেষ্টা করছে সেনা। জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর মঙ্গলবার সেখানে হাজির হন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। তাঁদের অনেক জায়গায় ঘুরিয়ে দেখানো হয়। জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি সচক্ষে দেখে তাঁরা রিপোর্ট পেশ করবেন। আর তাঁরা যখন জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি ঘুরে দেখছেন ঠিক তখনই কুলগামে ৬ শ্রমিককে গুলি করে মারল জঙ্গিরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *