Business

খাজনা এড়াতে অন্য প্যাকেটের রাস্তায় বিভিন্ন সংস্থা, ক্রেতার লাভ খোলাতেই

কর দিতে তারা চায় না। তাই অন্য প্যাকেট বানাতে শুরু করল বিভিন্ন সংস্থা। যাতে লাভ হচ্ছে বিক্রেতাদের। তবে খোলা কেনায় লাভ বেশি ক্রেতার।

চাল, আটা থেকে শুরু করে অন্য নানা খাদ্য সামগ্রি প্যাকেটজাত অবস্থায় কিনতে অনেক ক্রেতা পছন্দ করেন। এটাও সাধারণ মানুষের ধারনা যে প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রির মানও ভাল হয়, আর তা অন্য কেউ নাড়াঘাঁটাও করে না।

কিন্তু প্যাকেটজাত জিনিস কেনার ওপর খাঁড়া নেমে আসে জুলাই মাসে। যখন ২৫ কেজির কম ওজনের প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রির ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি লাগু করা হয়।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ফলে যে সব সংস্থা ২৫ কেজির কম ওজনের সামগ্রির প্যাকেটবন্দি খাদ্য সামগ্রি বিক্রি করছিল তারা কর বাঁচানোর রাস্তা খুলে এখন ২৫ কেজির প্যাকেট বানাচ্ছে। যা কিনে আনছেন খুচরো বাজারের বিক্রেতারা।

খুচরো বিক্রেতাদের সেক্ষেত্রে জিএসটি প্রদান করতে হচ্ছে না। কারণ ২৫ কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের প্যাকেটের ওপর জিএসটি নেই।

তাঁরা সেই প্যাকেট খুলে যখন ক্রেতাদের বেচছেন তখন ক্রেতাদের পকেট থেকেও জিএসটির বাড়তি ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে না। কিন্তু এই লাভ ক্রেতারা তখনই ভোগ করছেন যখন তাঁরা খোলা কিনছেন বা ২৫ কেজির ওপর প্যাকেট কিনছেন।

সাধারণ পরিবারে ২৫ কেজির ওপর প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রি কেনার চল নেই। প্রয়োজনও পড়েনা। সেক্ষেত্রে তাঁরা যদি ৫ কেজি বা ১০ কেজির প্যাকেটজাত সামগ্রি কিনতে যান তাহলে তাঁদের আরও বেশি অর্থ প্রদান করতে হচ্ছে। কারণ বিক্রেতা তাঁদের কাছ থেকে জিএসটির টাকাও নিয়ে নিচ্ছেন।

কারণ কম ওজনের প্যাকেট হোলসেলারের কাছ থেকে বা সংস্থা থেকে সরাসরি নিতে গিয়ে বিক্রেতাকে জিএসটি প্রদান করতে হচ্ছে। তাই প্রায় সব সংস্থা এখন ২৫ কেজির বেশি ওজনের প্যাকেট বানাচ্ছে।

কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে তাঁদের হয় খোলা খাদ্য সামগ্রি কিনতে হবে বিক্রেতার কাছ থেকে অথবা প্যাকেটবন্দি ২৫ কেজির কম ওজনের জিনিস কিনতে বাড়তে জিএসটি গুনে যেতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *