Kolkata

বানভাসি নবমী নিশি

পুজো প্রায় শেষ লগ্নে। নবমীর রাত মানে সেই শেষ লগ্নের আনন্দটুকু চেটেপুটে উপভোগ করার দিন। কিন্তু বিকেল থেকেই শহর জুড়ে প্রবল বৃষ্টি কার্যত ধুয়ে দিল সেই আনন্দ। কেটে দিল বছরকার দিনের যাবতীয় সুর। তবে শহরকে কাবু করতে পারেনি বৃষ্টিঅসুর। ভিজে ভিজেই মানুষ বেরিয়েছেন রাস্তায়। ঘুরেছেন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। কিন্তু কাদা প্যাচপ্যাচে রাস্তা, মাথায় ছাতা, গায়ে রেনকোট বা বৃষ্টি এলেই কোনও ছাউনি খুঁজে তার তলায় দাঁড়ানো তাঁদের স্বাভাবিক আনন্দটাকে কোথাও যেন শুষে নিয়েছে। ফলে ১৬ আনা আনন্দটা হল কই! এই দিনটার জন্য কেউ প্ল্যান সাজিয়েছেন একমাস আগে থেকে, তো কেউ হালে। কত প্ল্যান থাকে। খাওয়া থাকে। প্যান্ডেল হপিং থাকে, নবমী নিশিতে ভিড়ে মেশা প্রেম থাকে। সেই সব আনন্দ যত সুন্দর করে শুকনো দিনে হতে পারত, তা কী বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সম্ভব! হয়তো না। আর তাই নবমী রাতের বাৎসরিক বিষাদের মাঝে আরও এক মূর্তিমান বিষাদ হয়ে পুজোয় জল ঢালল বৃষ্টি। ওড়িশা উপকূলের ওপর সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তের জেরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল ষষ্ঠী থেকেই। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমীর সকাল বা দুপুর ভাসালেও সন্ধেটা রেহাই দিয়েছিলেন বরুণদেব। কিন্তু নবমীতে সে গুড়ে বালি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস এই বৃষ্টি কমা দূরে থাক, বিজয়ার দিন আরও বাড়বে। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গও সমানভাবে ঘূর্ণাবর্তের দাপটে বানভাসি হবে। ফলে হয়তো বা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই পিতৃালয় ছেড়ে ফের কৈলাসের পথে পাড়ি দিতে হবে উমাকে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button