National

মোবাইলে দিনরাত সিনেমা, ছেলের হাত কেটে নিল বাবা!

দিনরাত স্মার্টফোনে ডুবে থাকত ছেলে। কাজ থেকে ফিরে মোবাইলে সিনেমা দেখাতেই মত্ত থাকত সে। ফোনের প্রতি ছেলের মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল বাবা কোয়াম কুরেশিকে। হায়দরাবাদের পাহাড়ি শরিফ থানা এলাকায় মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করে কোয়াম। তার ১৮ বছরের ছেলে সম্প্রতি কেবল অপারেটর অফিসে কাজ করা শুরু করেছিল। কাজ করে হাতে টাকা আসতেই একটি স্মার্টফোন কিনেছিল সে। বাড়িতে সারাক্ষণ ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকত ওই যুবক। ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে বেশ কয়েকবার ছেলেকে সতর্কও করেছিল তার বাবা। কিন্তু সেইসবে কান দেয়নি ১৮ বছরের যুবা। বাবার চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই চুটিয়ে চলছিল মোবাইলে নাগাড়ে সিনেমা দেখা। ২ সপ্তাহ আগে এই নিয়ে বচসাও হয় বাপ-ব্যাটার মধ্যে। স্মার্টফোন নিয়ে বকাবকি করায় বাবাকে রাগের মাথায় কামড়ে দেয় ছেলে।

ছেলের এমন উন্মত্ত আচরণে আর মাথা ঠিক রাখতে পারেনি কোয়াম কুরেশি। ছেলেকে উচিত শাস্তি দিতে চেয়েছিল সে। গত সোমবার রাতে আসে সেই সুযোগ। যুবকের মায়ের অভিযোগ, রাতে কাটারি হাতে ঘুমন্ত ছেলের ওপর চড়াও হয় তাঁর স্বামী। প্রবল আক্রোশে ছেলের ডান হাত কবজি বরাবর কেটে দেয় কোয়াম। স্থানীয়দের সাহায্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত যুবককে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মঙ্গলবার সকালে জখম যুবকের মা স্বামীর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার কোয়াম কুরেশিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *