National

গাড়ির পেটে জিভে জল আনা খাবার, কপাল ফেরাল খুন্তি

এ গাড়ি গাড়ি, কিন্তু গাড়ি নয়। তাকে রসনার আঁতুড়ঘরও বলা যেতে পারে। কারণ গাড়ির পেটের মধ্যেই রয়েছে এক গৃহবধূর খুন্তির ছোঁয়া।

কথায় বলে সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। আর বাড়ির সেই গৃহবধূ যদি গুণের সঙ্গে বুদ্ধিও ধরেন তাহলে তো কথাই নেই। এই যুগলবন্দি সংসারের সব অভাব মুছে সকলের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারে। ঠিক এমনটাই হয়েছে এক পলিটেকনিক কলেজের অস্থায়ী কর্মীর জীবনে।

কাজ করে মাসে ৭ হাজার টাকা মাইনে পেতেন তিনি। তা দিয়ে সংসার চলে যেত টেনেটুনে। কিন্তু সে চাকরিও গেল। বাড়িতে স্ত্রী, ২ সন্তান। এই সময় বুদ্ধিটা দিলেন তাঁর স্ত্রী।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তাঁর হাতের রান্নার তারিফ সকলেই করেন। সেই রান্নাকেই যদি কাজে লাগানো যায়! তাঁরা একটি পুরনো মারুতি অল্টো গাড়ি জোগাড় করে ফেললেন। তারপর গৃহবধূর ভাবনা মেনে একদিন জম্মু শহরের রাস্তার ধারে গাড়িটি নিয়ে গিয়ে দাঁড় করালেন।

গাড়িতে সারি দেওয়া রান্না করা খাবার। সবই স্থানীয় রসনা তৃপ্তির পদ। যার মধ্যে ছিল চানা ডাল, রাজমা, মাহ ছোলে ডাল, কড়ি, অম্বল আর ভাত। একদম ঘরোয়া রান্না।

রাস্তার ধারে গাড়িতে রাখা এসব রান্না কিন্তু পরিবেশন করা হয় খুব পরিচ্ছন্নভাবে। খেতে একদম বাড়ির রান্নার মত। আর সুস্বাদু তো বটেই।

মমতা শর্মার রান্নার গুণের কথা প্রথমে না ছড়ালেও ক্রমশ এই গাড়ির ধাবা মানুষের নজর কাড়তে থাকে। ভিড় বাড়তে থাকে মমতা শর্মার জম্মুর বিক্রম চৌকি এলাকার এই বিষ্ণু ধাবায়।

এখন সব খাবার নিয়ে পুরো প্লেট পড়ে ৫০ টাকা। হাফ প্লেট ৩০ টাকা। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খাবার পাওয়া যায়। যার সব রান্না নিজে হাতে করেন মমতা শর্মা। আর দোকান সামাল দেন তাঁর স্বামী ও ২ সন্তান।

চাকরি হারিয়ে যে পরিবারের ২ বেলা কি খাবার জুটবে তা নিয়ে চিন্তা ছিল, সেই পরিবারে এখন সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। মমতার বুদ্ধিতে এখন শর্মা পরিবারের মুনাফার অঙ্ক প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *