SciTech

বহুদিন ধরে নয়, চাঁদ তৈরি হয়েছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টায়

এতদিন মনে করা হত পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ তৈরি হয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু এতদিনের সেই ধারনা কার্যত ভেঙে দিল একটি নতুন গবেষণা।

এতদিন মনে করা হত পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে থাকা চাঁদ তৈরি হয়েছিল বহু বছর ধরে। এতদিন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, ৪৫০ কোটি বছর আগে পৃথিবী তখন অনেক তরুণ ছিল।

সেই তরতাজা পৃথিবীর সঙ্গে থিয়া নামে একটি মঙ্গলগ্রহের আকারের মহাজাগতিক বস্তুর ধাক্কা লাগে। সেই সংঘর্ষ প্রচুর পরিমাণে ভাঙা টুকরো, ধুলো সহ মহাজাগতিক ধ্বংসাবশেষের জন্ম দেয়। যা পৃথিবীর চারধারে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে।

সেইসব মহাজাগতিক ধ্বংসাবশেষ ক্রমশ জমাট বাঁধতে শুরু করে। আর এভাবেই বহু বছর ধরে তা একটু একটু করে জমাট বেঁধে তৈরি হয় চাঁদ।

এই প্রচলিত ধারনা কার্যত ভেঙে দিল নতুন এক গবেষণা। যেখানে গবেষকরা দাবি করছেন, দীর্ঘদিন ধরে মহাজাগতিক ধ্বংসাবশেষ জমাট বেঁধে নয়, চাঁদ তৈরি হয়েছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টায়।

বিজ্ঞানীরা যা বলছেন তার মানে দাঁড়ায় আগের দিনও চাঁদ বলে কিছু ছিলনা। পরদিন আকাশে চাঁদ নামে একটি সাদা গোলাকার বস্তু দেখা গেল। যা পৃথিবীর চারধারে প্রদক্ষিণ করা শুরু করে দিল।

নাসার গবেষক, ব্রিটেনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা যৌথভাবে গবেষণা চালিয়ে যে নতুন তথ্য পেয়েছেন তাতে দেখা গেছে পৃথিবী ও থিয়ার সংঘর্ষ হয়েছিল ঠিকই। তবে তার ধ্বংসাবশেষ জমাট বেঁধে চাঁদ তৈরি হয়নি।

বরং চাঁদ তৈরি হয়েছিল সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। কারণ তা এই সংঘর্ষের ফলে ভেঙে তৈরি হয়েছিল। তাই চাঁদের মাটির ধরন পৃথিবীর সঙ্গে মেলে। সংঘর্ষে এক অতিকায় টুকরো ভেঙে বেরিয়ে আসে। আর সেটাই হয়ে ওঠে চাঁদ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *