National

ঘরের বাইরে পুড়ছে নতুন কেনা বাইক, ভিতরে ঘুমের মধ্যেই শেষ বাবা ও মেয়ে

সবে কেনা ই-বাইকে সুনসান রাতে লাগল আগুন। ঘরে তখন অগাধে ঘুমোচ্ছিলেন বাবা ও মেয়ে। সেই অবস্থাতেই শেষ হয়ে গেল ২ জনের জীবন।

সবে কিনেছিলেন ই-বাইকটি। ই-বাইক মানেই তাতে চার্জ দিতে হবে। সাধারণত সকলে যা করেন তাই করেছিলেন ওই ব্যক্তিও। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বাইকটিকে চার্জে বসিয়ে ঘুমোতে চলে যান। কিন্তু সেই রাতেই ঘটে গেল এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা।

গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থায় বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে শ্বাসরুদ্ধ হয়েই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। ২ জনের কারও গায়েই কোনও পোড়া দাগ ছিলনা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তামিলনাড়ুর ভেলোরের বাসিন্দা ৪৯ বছরের এম দুরাইভার্মা ও তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। ই-বাইক চার্জ দেওয়া অবস্থায় রাখা ছিল ঘরের দরজার পাশে।

আর অ্যাসবেস্টসের ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমোচ্ছিলেন বাবা ও মেয়ে। এরপর গভীর রাতে আগুন লাগে। আশপাশের এলাকাও ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।

গ্রামবাসীরা ছুটে এলেও আগুন নেভাতে পারেননি। ঘটনাস্থলে দমকল গিয়ে আগুন নেভায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে ই-বাইকের পাশে থাকা একটি মোটরবাইকেও। দরজা ভেঙে বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এম দুরাইভার্মার ছবি তোলার একটি স্টুডিও রয়েছে। কয়েকদিন আগেই ই-বাইকটি কিনেছিলেন তিনি। পুরনো সকেটে প্লাগ দিয়ে চার্জ করতে গিয়েই বিপত্তিটি ঘটে বলে মনে করছে দমকল। শর্টসার্কিট হয়ে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে।

দুরাইভার্মার ১৩ বছরের মেয়ে মোহনা প্রীতিও এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। মোহনা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। সে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন বেশ কয়েক মাস পরে সম্প্রতি মোহনা বাবার সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি এসেছিল। দুরাইভার্মার স্ত্রী মারা যান ২০১৩ সালে। তাঁর ১ ছেলে ও ১ মেয়ে। ঘটনার রাতে ছেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *