National

৩ কোটি টাকার ওপর আয়কর প্রদানের নোটিস পেলেন রিকশাচালক

রিকশা চালিয়ে জীবন চালানো এক ব্যক্তি এবার প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ওপর আয়কর নোটিস পেলেন। পুলিশে তা নিয়ে অভিযোগ করেছেন ওই ব্যক্তি।

রিকশা চালিয়ে জীবন কাটান তিনি। পরিবারও চলে তাঁর সামান্য উপার্জনে ভরসা করেই। সম্প্রতি তিনি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে বলা হয় প্যান নম্বর দিতে হবে। বাধ্যতামূলক বলায় তিনি উঠে পড়ে লাগেন প্যান কার্ড তৈরি করতে।

রিকশাচালক হিসাবে তিনি প্যান কার্ড তৈরি করেননি। প্রথমে তিনি জন সহায়তা কেন্দ্রে যান। সেখানেও বিভিন্ন লোকজনের কাছে ঘোরানো হয় তাঁকে।

অবশেষে ৩ মাসের চেষ্টায় তিনি প্যান কার্ড হাতে পান। রঙিন সেই প্যান কার্ড পেয়ে নিশ্চিন্ত বোধ করা ওই ব্যক্তি তখনও জানতেন না তাঁর জন্য কী অপেক্ষা করছে।

এর কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে আয়কর দফতর থেকে ফোন করা হয়। জানানো হয় তাঁর আয়কর বাকি পড়েছে। তার নোটিস যাবে। সেই নোটিস দ্রুত তাঁর হাতে আসে।

নোটিসে যা লেখা ছিল তা জানতে পেরে কার্যত মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে মথুরার অমর কলোনির বাসিন্দা প্রতাপ সিংয়ের। পেশায় রিকশাচালক প্রতাপের আয়কর বাকি ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৯৬ টাকা! সে টাকা তাঁকে জমা দিতে বলা হয়।

প্রতাপ দ্রুত সেই নোটিস নিয়ে ছোটেন স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে। পুলিশ অভিযোগ দায়ের না করলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেয়।

এরপর প্রতাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন যে তাঁর প্যান কার্ড আসলে নকল করা হয়েছে। অন্য এক ব্যক্তি তাঁর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন তাঁর আয়করের বোঝা। এরসঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যিনি প্রতাপকে প্যান কার্ড তৈরি করে নিতে সাহায্য করেন সেই ব্যক্তি। পুরো বিষয়টি প্রশাসনের নজরেও এসেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *