National

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়িতে আগুন, পুড়ল প্রতিবেশিদের বাড়িও

এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ঝগড়া শেষ করে দিল তাঁদের প্রতিবেশিদের মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকু। পুড়ে গেল তাঁদের বাড়ির সব জিনিসপত্রও।

স্বামীস্ত্রীর ঝগড়া। এর মধ্যে নতুন কি আছে। তাই প্রতিবেশিরাও বিশেষ গুরুত্ব দেননি। ঝগড়াটাও হচ্ছিল নেহাতই পারিবারিক বিষয় নিয়ে। তবে ঝগড়া ক্রমশ মাত্রা ছাড়া পর্যায়ে যাচ্ছিল।


অভিযোগ, ঝগড়া চলাকালীন একসময় সঞ্জয় পাতিল রান্নাঘরে ছুটে যান। তারপর আগুন ধরিয়ে এনে বাড়ির জিনিসপত্রে আগুন দিতে থাকেন।

এই দেখে চিৎকার করতে থাকেন তাঁর স্ত্রী পল্লবী। আগুন দ্রুত ছড়াতে থাকে। পৌঁছে যায় রান্না ঘরে। সেখানে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারে আগুন লেগে সেটি ফেটে যায়। এই আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।



আগুনের লেলিহান শিখায় সঞ্জয়-পল্লবীর বাড়ি তখন জ্বলছে। সেই আগুনের শিখা গ্রাস করে আশপাশের বাড়িগুলোকেও। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

ততক্ষণে গ্রামের সকলে সেখানে হাজির হয়েছেন। তাঁরাই জ্বলতে থাকা বাড়ি থেকে সকলকে বার করে আনেন। কিন্তু বাড়িঘর বাঁচানো যায়নি। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ১০টি বাড়ি। বহু সম্পত্তি পুড়ে যায়। এছাড়াও কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সাতারার মাজগাঁও গ্রামে। ঘটনার পর গ্রামবাসীরা সঞ্জয় পাতিলকে ধরে ব্যাপক মারধর করেন। পুলিশ এলে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এদিকে ঘটনায় বাড়িঘর পুড়ে গেলেও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সেভাবে আগুনে কেউ আহত হননি। গ্রামবাসীরা অপ্রাণ চেষ্টা চালান যাতে আগুন নেভানো যায়। কিন্তু সে চেষ্টায় তেমন কাজ হয়নি। এক ব্যক্তির ঝগড়ার সময়ের রাগের কারণে ক্ষতি হয়ে গেল ১০টি পরিবারের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button