National

ধর্ষক গডম্যানের পুরুষাঙ্গ কাটলেন তরুণী, ‘ওটার কাজ ছিলনা, তাই কেটেছি’ দাবি গডম্যানের

বাবা শয্যাশায়ী। তাঁকে সারিয়ে তুলতেই প্রথম গডম্যান স্বামী গঙ্গেশানন্দকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁর মা। সব দেখে বাবা জানায় সারিয়ে তুলতে তাকে বারবার তাঁদের বাড়ি আসতে হবে। সরল মনে ১৬ বছরের মেয়েটির মা স্বামীকে সারিয়ে তুলতে বাবার কথায় রাজি হয়ে যান। কিন্তু ওই তরুণীর দাবি, তাঁর বাবাকে সারানো নয় বাবাজির চোখ ছিল তাঁর প্রতি। বাড়ি আসার ছলে শুরু হয় তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন। এরপর গত ৮ বছর ধরে বারবার গঙ্গেশানন্দর ভয়ংকর লালসার শিকার হতে হয় তাঁকে। গত শুক্রবার আইনের ছাত্রী ওই তরুণীকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা করে বাবাজি। এবার আর সহ্য করেননি তরুণী। সম্ভ্রম রক্ষা করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেন স্বামী গঙ্গেশানন্দ-র পুরুষাঙ্গটি। রক্তাক্ত অবস্থায় রাতেই ৫৬ বছর বয়স্ক বাবাজিকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে কোনওক্রমে তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারলেও চিকিৎসকেরা স্বামী গঙ্গেশানন্দের পুরুষাঙ্গটি ফের যথাস্থানে স্থাপন করতে পারেননি। চিকিৎসকেরা জানান ৯০ শতাংশই কাটা পরেছে। তাই ওটা আর জোড়া সম্ভব নয়। ঘটনার পর তরুণী সব কথা পুলিশের কাছে জানান। কেরালার তিরুবনন্তপুরমের এই ঘটনায় তরুণীর পাশে দাঁড়িয়েছেন সকলেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন তরুণীকে তাঁর সাহসী পদক্ষেপের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। ওই তরুণী যে যথার্থ কাজ করেছেন তাও জানিয়েছেন বিজয়ন। এদিকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অবশ্য এই ঘটনার অন্য ব্যাখ্যা দিচ্ছে স্বামী গঙ্গেশানন্দ। তার দাবি, পুরুষাঙ্গটি দীর্ঘকাল অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল। সেটির কোনও কাজ ছিলনা। তাই ওটা আর বয়ে না বেরিয়ে সে নিজেই সেটি তার দেহ থেকে ছেঁটে ফেলেছে।

 


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *