National

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের স্কার্ট খুলিয়ে স্কুল ঘোরালেন প্রিন্সিপাল!

শ্রেণি অষ্টম। তারমানে বয়স চোদ্দোর কোঠায়। এই বয়সের এক কিশোরী শারীরিকভাবে অনেকটাই পরিণত। এমন এক বয়সের ছাত্রীদের যদি স্কুল ইউনিফর্মের স্কার্ট খুলে স্কুল চত্বরে ঘোরানো হয় তবে তা তাদের মানসিক অবস্থাকে কোথায় নিয়ে যায় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সেটাই হল লখনউতে। ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ড জুনিয়র হাইস্কুলের ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রিন্সিপাল মীনা সিং তাদের সংস্কৃতর একটি অধ্যায় পড়ে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু কয়েকজন সেই পড়া তৈরি না করেই স্কুলে আসে। তাতে রেগে গিয়ে প্রথমে তাদের পায়ের তলা দিয়ে হাত নিয়ে গিয়ে কান ধরে বসার নির্দেশ দেন মীনাদেবী। যাতে অনেক আগেই স্কুলে শাস্তি হিসাবে প্রয়োগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাতেই শেষ নয়, এরপর ছাত্রীদের স্কার্ট খুলে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। অর্ধনগ্ন অবস্থায় এবার তাদের স্কুল চত্বরে হাঁটানো হয়। ওই অবস্থায় বাধ্য হয়ে হাঁটলেও ছাত্রীরা মানসিক দিক থেকে চরম লজ্জায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অভিযোগ ছাত্রীরা হাঁটার সময় সেই অবস্থায় তাদের ছবি মোবাইল ক্যামেরায় তুলে প্রিন্সিপাল হুমকি দেন পড়া না করে আনলে ওই ছবি প্রকাশ করে দেবেন তিনি। বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের সব খুলে বললে অভিভাবকরা স্কুলে এসে অভিযোগ জানান। যদিও স্কার্ট খোলানোর কথা অস্বীকার করেছেন প্রিন্সিপাল। তবে তাতে লাভ হয়নি। শিক্ষা দফতর মীনা সিং নামে অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে সাসপেন্ড করেছে। শুরু হয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত।

 

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *