National

নজর আটকানোর সুতোই কেড়ে নিল শিশুর প্রাণ

শিশুর মাথায় কালো টিপ থেকে শুরু করে কত কি না করে পরিবার। উদ্দেশ্য একটাই। শিশুর যাতে নজর না লাগে। নজর লাগা আটকাতে কালো কারের সুতোও ব্যবহার করে অনেক পরিবার। তেমনই একটি কালো কার বাঁধা ছিল একটি ১ বছরের শিশুর গলায়। বাবা-মা চেয়েছিলেন তাঁদের ছোট্ট সন্তানের যেন নজর না লাগে। কিন্তু সেই কালো কারই কেড়ে নিল তাঁদের সন্তানের প্রাণ। উত্তরপ্রদেশে শিশুদের নজর লাগা আটকাতে কালো কার গলায় বাঁধার রীতি আছে। সেই রীতিই ডেকে আনল ঘোর অন্ধকার।


উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলায় একটি ১ বছরের শিশুর প্রাণ গিয়েছে কালো কারে দম বন্ধ হয়ে। বাবা-মা জানিয়েছেন, শিশুটি যখন প্র্যামে ঘুমোচ্ছিল তখন তাঁরা বাড়ির ছাদে একটা কাজে যান। ফিরে এসে দেখেন শিশুটি নিথর অবস্থায় পড়ে আছে। আর তার গলায় টাইট হয়ে আটকে আছে কালো কারটি। পুলিশ জানাচ্ছে, কালো কারটি কোনওভাবে শিশুটির হাতে আটকে যায়। তারপর হাত টানতে তা গলায় ফাঁসের মত টেনে আটকে যায়। তা থেকে দম বন্ধ হয়ে যায় শিশুটির।

পড়ুন : বৃহন্নলাদের নাচ কেড়ে নিল সদ্যোজাতের প্রাণ



বাবা-মা শিশুটিকে নিথর অবস্থায় পাওয়ার পর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এমন ঘটনা উত্তরপ্রদেশে নতুন নয়। ১ বছর আগে এই শামলিতেই ঠিক এইভাবেই এক শিশুর প্রাণ গিয়েছিল। বহু দিনের চলে আসা রীতি। কিন্তু এমন ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কী আগামী দিনে অভিভাবক থেকে পরিবার এই নজর লাগা আটকানোর সুতো বাঁধা থেকে বিরত হবেন? এর উত্তর সময়ই দিতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button