National

ছাত্রদের সামনেই স্কুলের রান্নাঘরের গায়ে প্রস্রাব, বিপাকে শিক্ষক

স্কুল চলাকালীন প্রস্রাব করতে স্কুলের রান্নাঘরের দেওয়ালটাই বেছে নিয়েছিলেন শিক্ষক। ছাত্রদের সামনেই তিনি স্কুলের দেওয়ালে প্রস্রাব করেন। সেই ঘটনার কথা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর যায় শিক্ষা দফতরে। খবর যায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও। তারপরই রামকমল চাকমা নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শো-কজ নোটিস জারি করেন মহকুমা শাসক। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন এই ঘটনার পর তাঁর বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না। যদিও স্কুল বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে এই শো-কজের জবাব দিয়েছেন চাকমা। জানিয়েছেন তিনি তাঁর কাজের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থী।


ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার ধলাই জেলার একটি স্কুলে। প্রসঙ্গত ত্রিপুরায় স্বচ্ছতা অভিযান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচার চলছে। সরকারি তরফে খোলা জায়গায় প্রস্রাব বা মলত্যাগ না করতে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। এর খারাপ ফল সম্বন্ধে সকলকে অবগত করা হয়েছে। সেখানে একজন শিক্ষকের এমন কাজে রীতিমত ক্ষুব্ধ সরকার। এমনিতেই এত প্রচার সত্ত্বেও ত্রিপুরার খোদ রাজধানী শহর আগরতলাতেই রাস্তায় জঞ্জাল ফেলা, জলাশয়ে প্লাস্টিক ফেলা, যত্রতত্র প্লাস্টিকের বোতল ফেলা কিছুই রোখা যাচ্ছেনা। যা নিয়ে রীতিমত চিন্তিত প্রশাসন।

ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে আগরতলা জুড়ে সাধারণের জন্য ৪৫টি প্রস্রাবখানা খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়রা জানাচ্ছেন সেগুলির অর্ধেকই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কোনওটার বাথরুম ফিটিংসই উধাও হয়ে গেছে। কোথাও চুরি গেছে কল। সব মিলিয়ে দুর্বিষহ পরিস্থিতি। পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রচারের পাশাপাশি এগুলির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে পাল্টা সরকারের বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছেন শহরবাসী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button