National

আত্মঘাতী আইআইটি পড়ুয়া, সুইসাইড নোটে যৌন হেনস্তার অভিযোগ

দিল্লি আইআইটির হস্টেল থেকে উদ্ধার হল এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। ছাত্রের নাম নাড়ুগোপাল মালো। মেধাবী নাড়ুগোপাল হুগলির বাসিন্দা। ২ মাস আগে দিল্লি আইআইটিতে এমএসসি পাঠক্রমে ভর্তি হন তিনি। পুলিশ তাঁর হস্টেলের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সুইসাইড নোট ও পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, ছোটবেলা থেকেই যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে নাড়ুগোপালকে। পরবর্তীকালে দিনের পর দিন জনা কয়েক সহপাঠীর অশ্লীল যৌন হেনস্তা মুখ বুজে হজম করে যেতে হয়েছে তাঁকে। এভাবে ছোট থেকে যৌন হেনস্তার শিকার নাড়ুগোপাল বেশ কিছুদিন ধরেই প্রবল মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।

২১ বছর বয়সী এমএসসির এই ছাত্র অত্যন্ত মেধাবী হিসাবে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের হুগলির ত্রিবেণীর বাসুদেবপুর এলাকার বাসিন্দা নাড়ুগোপাল মানসিক অবসাদের কারণে গত ১০ এপ্রিলও ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু মনের কোণায় আত্মহত্যার ইচ্ছাটা লুকিয়ে ছিল কোথাও। তাই বাড়ির লোকজনের হাজার বোঝানো সত্ত্বেও সেই চরম পথই বেছে নিলেন তিনি।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

দিল্লি আইআইটির হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল নাড়ুগোপাল মালোর ঝুলন্ত দেহ। শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ গলায় পাজামা জড়িয়ে সিলিং থেকে নাড়ুগোপালকে ঝুলতে দেখেন তাঁরই রুমমেট। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। পাশের টেবিলে রাখা ছিল বাংলায় লেখা এক পাতার সুইসাইড নোট। তাতে যৌন হেনস্তার কথা যেমন লেখা ছিল, তেমনই ছিল কয়েকজন ছাত্রের নাম। যাদের জন্য তাঁকে এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে হল বলে জানিয়ে গেছেন নাড়ুগোপাল। সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *