World

নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর স্ত্রীর দেহ মিলল গাড়িতে

গত সোমবার থেকে রহস্যজনকভাবে সস্ত্রীক উধাও হয়ে যান নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ই-ইচি নেগিশি। আমেরিকার ইন্ডিয়ানার পুর্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নের অধ্যাপক তিনি। ২০১০ সালে রসায়নবিদ্যায় যুগান্তকারী কাজের জন্য ই-ইচি নেগিশি নোবেল পুরস্কার পান।

ইন্ডিয়ানার ইলিওনিস অঞ্চলের রাস্তায় উদভ্রান্তের মত একজন প্রবীণ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই তথ্য জনৈক ব্যক্তি ফোন করে জানান ইন্ডিয়ানা পুলিশকে। খবর পেয়ে রকফোর্ড বিমানবন্দরে যাওয়ার রাস্তায় ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পায় পুলিশ। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া জাপানি বিজ্ঞানীর সন্ধান মেলে। ই-ইচি নেগিশির সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে দুর্ঘটনার কথা। কিছুটা দূর গিয়ে নেগিশির গাড়ি চোখে পড়ে তাদের। গাড়ির ভিতরে বিজ্ঞানীর স্ত্রী সুমিরা নেগিশিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। জখম বিজ্ঞানীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর দাবি, গত সোমবার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য গাড়ি করে বিমানবন্দরের দিকে তিনি যাচ্ছিলেন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের গাড়ি ধাক্কা মারে রাস্তার ধারের পাঁচিলে। এলাকাটি নির্জন হওয়ায় কারোর সাহায্য মেলেনি। ই-ইচি নেগিশির আরও দাবি, বাধ্য হয়ে জখম স্ত্রীকে গাড়িতে রেখে তিনি একাই সাহায্যের জন্য রাস্তায় এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। প্রবীণ বিজ্ঞানীর দাবি সত্যি বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে ঘটনার তদন্ত করে দেখছে ইন্ডিয়ানা পুলিশ। স্ত্রীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বিজ্ঞানী। গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পরিবারেও।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *