State

চাহিদামত পণ না পেয়ে স্ত্রীর কিডনি বিক্রির অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

পণের টাকা আদায়ের নামে গৃহবধূর কিডনি বিক্রি করেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোক। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় ছড়াল ব্যাপক চাঞ্চল্য। পণ বাবদ মেয়ের বাপের বাড়ির কাছে দাবি ছিল ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। সঙ্গে দিতে হবে ৬ ভরি সোনার গয়নাও। মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সরকারের বাড়ির দাবি মিটিয়েও দিয়েছিলেন পাত্রী রীতা সরকারের পরিবার। অভিযোগ, তারপরেও পণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল ওই গৃহবধূর উপর। আরও পণ না পেয়ে ১৩ বছর ধরে তাঁর ওপর চলছিল মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। শেষে পণের লোভে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির চরম বর্বরতার শিকার হতে হল গৃহবধূকে। অভিযোগ, টাকার জন্য গৃহবধূর কিডনি বিক্রি করে দিয়েছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোক।

২ মাস আগে পেটে ব্যথা নিয়ে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে আসেন রীতা সরকার। তাঁর সঙ্গে আসে স্বামী, শাশুড়ি ও দেওর। অভিযোগ, নার্সিংহোমে ওই গৃহবধূকে ওষুধ মেশানো জল খেতে দেয় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারপরেই তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরে পেটে কাটা দাগ দেখে ঘাবড়ে যান ওই গৃহবধূ। স্বামীর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে বলা হয়, তাঁর পেটে অ্যাপেন্ডিক্সের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এই ঘটনার মাস খানেক পর শিলিগুড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। পেটে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করার পর জানতে পারেন তাঁর ডানদিকের কিডনিটাই নেই। এরপরেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান তিনি। যদিও গৃহবধূর অভিযোগ অস্বীকার করেছে তাঁর শাশুড়ি। অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *