State

ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৩ জনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার

মালদহে ব্যবসায়ী দম্পতি ও তাঁদের গৃহ সহকারীকে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সকালে ৩ জনের ক্ষতবিক্ষত দেহ বাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হয়। ঘরের আলমারি ভাঙা অবস্থায় পড়েছিল। লণ্ডভণ্ড ছিল কাপড়-জামা। লুঠ হয়েছে নগদ টাকা, সোনার গয়না এবং অনেক মূল্যবান সামগ্রি।

পুলিশ সূত্রের খবর, মালদহের ইংরেজ বাজারের বিবেকানন্দ পল্লী যথেষ্ট ঘিঞ্জি এলাকা। এখানেই দীর্ঘদিনের বাসিন্দা রামরতন আগরওয়াল। গত বৃহস্পতিবার তিনি পিরোজপুরে তাঁর এক বন্ধুর বাড়ি সস্ত্রীক গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রাত ১১টা নাগাদ ফেরেন। প্রতিবেশিদের দাবি, তারপর সারারাত তাঁদের বাড়ি থেকে টুঁ শব্দটি পাওয়া যায়নি। সকালে ৩ জনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির সিসিটিভি ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। টেবিলে রাতের খাবার যেমন কে তেমন সাজানো ছিল।


এসব থেকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রীতিমত পরিকল্পনা করে ৩ জনকে খুন করা হয়েছে। সম্ভবত আগরওয়াল পরিবার বাড়ি থেকে বার হওয়ার পরই কোনওভাবে বাড়িতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। অপেক্ষায় ছিল তারা। তারপর সকলে বাড়িতে ফিরতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে তাঁদের। এমনভাবে খুন করা হয় যাতে তাঁরা চেঁচানোর সময়টুকুও না পান। তাই সাধারণভাবে বাড়িতে ডাকাত পড়লে বাড়ির সদস্যদের আর্তনাদ শোনা গেলেও এদিন তা শোনা যায়নি। এদিকে এমন এক ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী শনিবার মালদহে বন্‌ধের ডাক দিয়েছে জেলার বণিকসভা। ঘটনার তদন্তে মালদহে যাবে সিআইডির একটি দল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।


Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button