National

প্রসাদ মুখে দিতেই ঝিমিয়ে এল কিশোরীর দেহ, তার দিকে এগিয়ে এল ১০ জন

এক বাবাজির কাছে গেলে বড়লোক হওয়া যাবে। এই আশ্বাস পেয়ে ২ বোন হাজির হয়েছিল সেখানে। বড় বোনকে সেখানে দেওয়া হয় প্রসাদ। তারপরই ঘটল সেই ঘটনা।

এক ১৭ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ মোট ১১ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের কেউ ধরা পড়েনি। ওই কিশোরী পাটনার রাজীব নগর কলোনির বাসিন্দা।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রিয়াঙ্কা নামে এক মহিলার সংস্পর্শে আসে ওই কিশোরী ও তার বোন। প্রিয়াঙ্কা তাদেরকে প্রলুব্ধ করতে কাহিনি ফেঁদে জানায় হরিয়ানার ফরিদাবাদের বাসিন্দা একজন সাধুকে সে চেনে যার কৃপায় সহজেই ধনী হওয়া যায়।

প্রিয়াঙ্কা ওই কিশোরী ও তার বোনের বিশ্বাস অর্জনের পর পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন থেকে এক যুবক ২ বোনকে প্রথমে বারাণসী নিয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে ট্রেনে চাপিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যায়।

দিল্লি থেকে ফরিদাবাদের একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তোলা হয় তাদের। নির্যাতিতা কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, এই বাড়িতে অন্তত ১০ জন উপস্থিত ছিল।

কিশোরীর বোনের ঋতুস্রাব চলায় তাকে পুজোয় উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি। তাকে বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করতে বলা হয়।

ওই কিশোরী বাড়ির বাইরে আসার কিছু পরে তার সন্দেহ হওয়ায় সে সেখান থেকে পালায়। এদিকে বাড়ির ভিতরে পুজো চলা একটি ঘরে তখন তার দিদি রয়েছে।

ওই কিশোরীকে এরপর পুজোয় বসতে বলা হয়। তারপর তার হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি প্রসাদ। সেই প্রসাদ খাওয়ার পর কিশোরী প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়লে ওই সাধু এবং আরও ১০ জন তাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

ঘটনার পর ওই কিশোরীর সব পোশাক খুলে নিয়ে তার পাশে নোটের তাড়া রেখে ভিডিও করা হয় বলেও অভিযোগ। ২ দিন এমন চলার পর কিশোরীকে ফের বারাণসীতে আনা হয়।

বারাণসীতে আনার পর সেখান থেকে দুষ্কৃতিদের চোখে ধুলো দিয়ে ওই কিশোরী পাটনা পালিয়ে আসে। পুলিশের কাছে সব জানায়। পুলিশ তার অভিযোগের ভিত্তিতে ১১ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *