National

মাঠ থেকে ফিরেই মৃত্যু হচ্ছে গরু-বাছুরের, রহস্য উন্মোচন করল পশু দফতর

মাঠে চরতে যাচ্ছে সকালে। আর বিকেলে গোয়ালে ফেরার পর তাদের মৃত্যু হচ্ছে। কীভাবে তার কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছিলেন না কেউ। রহস্যের কিনারা করল পশু দফতর।

গরু, মোষ, বাছুরদের সকালে মাঠে চরাতে নিয়ে যাওয়া আজকের রীতি নয়। যুগ যুগ ধরে তাদের মাঠে চরাতে নিয়ে যান রাখাল বা গোপালনের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।

গ্রামের অনেকের পরিবারেই গরু, বাছুর মোষ রয়েছে। তাঁরা তাদের সকালে মাঠে নিয়ে যাচ্ছিলেন প্রতিদিন। কিন্তু গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় এক আজব কাণ্ড।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

মাঠ থেকে চরে আসার পর কারও না কারও গরু, বাছুর বা মোষের মৃত্যু হচ্ছিল অজানা কারণে। প্রথম দিকে বিষয়টি সেভাবে নজর কাড়েনি। কিন্তু প্রতিদিনই এমনটা হওয়ায় গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

গত ১০ দিনে ২২টি জীবের এভাবে মৃত্যু হওয়ার পর গ্রামবাসীরা আর ঝুঁকি নেননি। নিজেরা কূলকিনারা না পেয়ে রাজ্যের পশুপালন দফতরে জানান সবকিছু।

কর্ণাটকের পশুপালন দফতরের আধিকারিকরা দ্রুত বেলাগাভি জেলার ভেঙ্কাকাটাপুরা গ্রামে হাজির হন। তাঁরা তদন্ত শুরু করেন এই রহস্য মৃত্যুর। সেজন্য যে মাঠে গরু, বাছুর চরাতে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানেও হাজির হন তাঁরা। পরীক্ষা করেন মৃত গরু, বাছুর, মোষের দেহ। সব কিছুর পর তাঁরা অবশেষে বুঝতে পারেন আসল কারণটা।

পশুপালন দফতরের আধিকারিকদের প্রাথমিক তদন্তের পর ধারনা এর পিছনে রয়েছে শেয়াল। লাগোয়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে কোনও না কোনও গরু, বাছুর বা মোষকে কামড়ে দিয়ে তারা ফের জঙ্গলে গা ঢাকা দিচ্ছে। আর সেই বিষ ছড়িয়ে বিকেলের পর গোয়ালে ফিরে মৃত্যু হচ্ছে গরু, বাছুরদের।

বিষয়টি আরও পরিস্কার হতে মৃত গরু, বাছুরদের নমুনা গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে গরু, বাছুর, মোষ চরাতে গিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে তাদের মালিকদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *