National

মৃত মহিলাকে করোনা প্রতিষেধক টিকার দ্বিতীয় ডোজ, ফোনে এল শংসাপত্রও

মৃত মহিলার দ্বিতীয় ডোজ হয়ে গেল। শুধু তাই নয়, সফলভাবে টিকাকরণের সেই মেসেজও এসে গেল মোবাইলে। যা দেখে আঁতকে উঠলেন তাঁর ছেলে।

চলতি বছরের এপ্রিলের কথা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তখন ক্রমশ আঁকড়ে ধরছে ভারতকে। হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণ। সে সময় এক ৬৭ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে করোনা প্রতিষেধক টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়।


কোউইনে তাঁর এই টিকাকরণের রেজিস্ট্রেশন হয় তাঁর ছেলের মোবাইল নম্বরে। সেইমত প্রথম ডোজ প্রদানের পর তার শংসাপত্রও মোবাইলে চলে আসে। আসে মেসেজ।

এই টিকাকরণের এক সপ্তাহ পরে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুর শোক এতদিনে কিছুটা কাটিয়েও উঠেছিলেন ছেলে। ডিসেম্বরের ৯ তারিখে তাঁর ফের মায়ের কথা মনে পড়ে যায় মোবাইলে আসা মেসেজে নজর দিতে।


মোবাইলে তিনি দেখেন একটি মেসেজ এসেছে যেখানে বলা হয়েছে তাঁর মাকে করোনা প্রতিষেধক টিকার দ্বিতীয় ডোজ সাফল্যের সঙ্গে দেওয়া হল। এর শংসাপত্র নিয়ে নিতে বলা হয়। যা দেখে কার্যত হতভম্ব হয়ে যান ছেলে।

এ কেমন করে সম্ভব! যিনি বেশ কয়েক মাস হল মারা গেছেন তাঁকে কীভাবে করোনা প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হল? পুরো বিষয়টি সামনে আসতে হৈচৈ পড়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির রাজঘাট এলাকায়। ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ডিসট্রিক্ট ইমিউনাইজেশন অফিসার রবি কুমার জানিয়েছেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে এমনটা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এটাও দেখা হচ্ছে যে এটা কাজের ভুল নাকি কেউ ইচ্ছা করেই এটা করেছে। পিএইচসি প্রধানকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকজও করেছেন রবি কুমার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button