National

সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হবে, বন্ধ হল বিয়েতে কেক কাটা, শ্যাম্পেন পান

বিয়ে উপলক্ষে কেক কাটা বা শ্যাম্পেন পান একটা নয়া সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছিল ভারতের একটি জনজাতির নব্য প্রজন্মের কাছে। তা এবার বন্ধ হল।

বিয়ের অনুষ্ঠানে নতুন কিছু ছোঁয়া দেওয়া এখন নব্য প্রজন্মের একটা প্রচেষ্টা হয়ে উঠেছে। অনেকে এখন বিয়েতে অভিনব কিছু করার কথা ভাবেন। আবার বিয়ের বিভিন্ন জনজাতিতে হাজারো নিয়ম রয়েছে।


কর্ণাটকের মাদিকেরী জেলায় কোডাভা সমাজ যথেষ্ট পরিচিত নাম। এই কোডাভা সমাজের মানুষজন তাঁদের নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে বেঁচে থাকেন। এঁদের মধ্যে যে বিবাহ অনুষ্ঠান হচ্ছিল সেখানে অনেকটা নিয়মে পরিণত হয়েছিল কেক কাটা এবং শ্যাম্পেন পান করা। কিছুটা পাশ্চাত্য সংস্কৃতির নকলে এটা ক্রমশ যেন বিয়ের অঙ্গ হয়ে উঠছিল।

এবার তাতে রাশ টানল কোডাভা সমাজ। শুধু তাই নয়, দাড়ি রেখে বরের বিয়েতে আসা বা খোলা চুলে কনের বিয়ের অনুষ্ঠানের সময় সামনে আসাকেও তাদের সংস্কৃতি বিরোধী বলে জানিয়ে দিয়েছে সমাজ।



এত কিছু চাপিয়ে দিলে কি নব্য প্রজন্ম মেনে নেবে সবটা? প্রশ্নের উত্তরে এই পোন্নামপেট কোডাভা সমাজের সভাপতি জানিয়েছেন, নতুন প্রজন্মকে নিয়েই বরং সমস্যা নয়। এই কেক কাটা, শ্যাম্পেন পানের মত অনুষ্ঠানকে বিয়ের অঙ্গ করায় সবচেয়ে বেশি উৎসাহ বছর ৫০-এর মানুষদের। তাই তাঁদের এটা বুঝতে হবে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান কেক কাটা বা শ্যাম্পেন পান তাঁদের বিয়ের অংশ কখনওই ছিলনা। তাই সংস্কৃতির অঙ্গ নয় এমন অনুষ্ঠানকে বিয়ে থেকে বাদ দেওয়া দরকার। কারণ সংস্কৃতি যদি না বাঁচে তাহলে তাঁদের অস্তিত্বও এরপর বিপন্ন হয়ে উঠবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button