National

পুলিশের জালে বিএমডব্লিউ গাড়িতে চড়ে ঘোরা চাওয়ালা ও ধোপা

তারা ঘোরে বিএমডব্লিউ চড়ে। বিলাসবহুল জীবনযাপন করে। অথচ চা বেচে বা কাপড় ধোলাইয়ের কাজ করে এত অর্থ উপার্জন সম্ভব নয়। তারা নিয়েছিল অন্য পথ।

পেশায় একজন চা বিক্রেতা। অন্যজন ধোপা। একই এলাকায় একই সঙ্গে থাকে তারা। এতদিন ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু কিছুদিন ধরে তাদের জীবন ধারণের মান বদলে গেছে। বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করছে তারা। হাতে থাকছে বহুমূল্য মোবাইল ফোন।

জীবনযাপনের ধরনধারণই গেছে বদলে। যদিও তা দেখেও অনেকে অদেখাই করেছিলেন। কিন্তু এত টাকা এল কোথা থেকে? তা পরিস্কার হল স্থানীয় এক ব্যবসায়ী পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর।

ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু অনিয়মের গোপন কথা জেনে ফেলেছিল এই ২ জন। তা জানার পর চা বিক্রেতা ২৭ বছরের আরিফ ঘাঞ্চি ও পেশায় ধোপা ৩৭ বছরের ইউসুফ ঘাঞ্চি স্থির করে তারা এই তথ্যের ফায়দা তুলবে।

Car
বিএমডব্লিউ গাড়ি, প্রতীকী ছবি

ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা জানায় তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত অনিয়মের কথা তারা ফাঁস করে দেবে। যদি না তাদের চাহিদামত টাকা দেওয়া হয়।

ওই ব্যবসায়ী তাদের চাহিদা মেনে টাকা দিয়েও দেন। এরপর তারা ওই ব্যবসায়ীকে জানায় যে তাদের সঠিক জায়গায় পরিচিতি রয়েছে। তারা বিষয়টিকে মিটিয়ে দিতে পারে। তবে তার জন্য খরচ আছে।

এবার আরও অর্থ ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাতায় তারা। আর এভাবেই তাদের চাহিদা বেড়েই যাচ্ছিল। অবশেষে ওই ব্যবসায়ী পুলিশের দ্বারস্থ হন।

পুলিশ তদন্তে নেমে আমেদাবাদের সারখেজ এলাকার ওই চা বিক্রেতা ও ধোপাকে গ্রেফতার করে। এখন পুলিশ খতিয়ে দেখছে যে ধৃতরা অন্য কারও কাছ থেকেও এভাবে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছিল কিনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *