পুলিশের জালে বিএমডব্লিউ গাড়িতে চড়ে ঘোরা চাওয়ালা ও ধোপা
তারা ঘোরে বিএমডব্লিউ চড়ে। বিলাসবহুল জীবনযাপন করে। অথচ চা বেচে বা কাপড় ধোলাইয়ের কাজ করে এত অর্থ উপার্জন সম্ভব নয়। তারা নিয়েছিল অন্য পথ।
![Tea](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2021/11/tea.jpg)
পেশায় একজন চা বিক্রেতা। অন্যজন ধোপা। একই এলাকায় একই সঙ্গে থাকে তারা। এতদিন ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু কিছুদিন ধরে তাদের জীবন ধারণের মান বদলে গেছে। বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করছে তারা। হাতে থাকছে বহুমূল্য মোবাইল ফোন।
জীবনযাপনের ধরনধারণই গেছে বদলে। যদিও তা দেখেও অনেকে অদেখাই করেছিলেন। কিন্তু এত টাকা এল কোথা থেকে? তা পরিস্কার হল স্থানীয় এক ব্যবসায়ী পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর।
ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু অনিয়মের গোপন কথা জেনে ফেলেছিল এই ২ জন। তা জানার পর চা বিক্রেতা ২৭ বছরের আরিফ ঘাঞ্চি ও পেশায় ধোপা ৩৭ বছরের ইউসুফ ঘাঞ্চি স্থির করে তারা এই তথ্যের ফায়দা তুলবে।
![Car](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2021/11/car.jpg)
ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা জানায় তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত অনিয়মের কথা তারা ফাঁস করে দেবে। যদি না তাদের চাহিদামত টাকা দেওয়া হয়।
ওই ব্যবসায়ী তাদের চাহিদা মেনে টাকা দিয়েও দেন। এরপর তারা ওই ব্যবসায়ীকে জানায় যে তাদের সঠিক জায়গায় পরিচিতি রয়েছে। তারা বিষয়টিকে মিটিয়ে দিতে পারে। তবে তার জন্য খরচ আছে।
এবার আরও অর্থ ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাতায় তারা। আর এভাবেই তাদের চাহিদা বেড়েই যাচ্ছিল। অবশেষে ওই ব্যবসায়ী পুলিশের দ্বারস্থ হন।
পুলিশ তদন্তে নেমে আমেদাবাদের সারখেজ এলাকার ওই চা বিক্রেতা ও ধোপাকে গ্রেফতার করে। এখন পুলিশ খতিয়ে দেখছে যে ধৃতরা অন্য কারও কাছ থেকেও এভাবে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছিল কিনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা