National

বার্থডে বয়ের মুখে হাসি ফোটাল মানবিক পুলিশ

লকডাউনে সব বন্ধ। বাড়ি থেকেও কাউকে বার হতে দিচ্ছেনা পুলিশ। তার মধ্যেই এক ৫ বছরের শিশুর জন্মদিনে তার মুখে হাসি ফোটাল পুলিশ।

সবে ৫ বছরে পড়ল ছেলেটা। লকডাউন কী বোঝার পক্ষে সে বেশ ছোট। তাই তার শিশু মন লকডাউন বোঝে না। বোঝে গত বছরও বাবা-মাকে দেখেছে তার জন্য জন্মদিনে কেক আনতে। সেই কেক তার বড় পছন্দের। তার জন্মদিনে কেক তার চাই। ৫ বছরের জন্মদিনেও সে বায়না ধরেছিল তার কেক চাই। গত শুক্রবার ছিল তার জন্মদিন। কিন্তু তারা যেখানে থাকে সেখানে বাড়ি থেকে বার হওয়াও মানা। ছোট্ট ছেলেটা ওসব বোঝে না। তার কেক চাইই। বাবা-মার কাছে যে করেই হোক জন্মদিনে কেক আনার আবদার করতে থাকে। অগত্যা ছেলের চাপে বাধ্য হয়ে তার বাবা পুলিশ স্টেশনে ফোন করেন।

গুরুগ্রামের ডিএলএফ ফেজ-২ এলাকার বাসিন্দা ওই পরিবার। পুলিশে ফোন করে ছেলেটির বাবা অনুরোধ করেন তাঁকে যেন কাছাকাছি কোনও কেকের দোকানে যেতে দেওয়া হয় যাতে তিনি ছেলের জন্মদিনের এই চাহিদাটুকু পূরণ করতে পারেন। পুলিশ কিন্তু সাফ জানিয়ে দেয় তাঁকে বাড়ি থেকে বার হওয়ার অনুমতি তারা দিতে পারবেনা। অগত্যা ফোন রাখেন তিনি।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বিষয়টি জানতে পারেন স্টেশন হাউস অফিসার ইয়াকুব খান। তিনি তাঁর অধস্তন কর্মচারিদের নির্দেশ দেন তাঁরা যেন একটি কেকের বন্দোবস্ত করেন। সেইমত কেকের ব্যবস্থা করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর যে আবাসনে ওই পরিবার থাকে সেই আবাসনের সামনে হাজির হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। তাঁরা মাইকে ওই ৫ বছরের ছেলেটির নাম ধরে ডাকতে থাকেন। সাবির সিং গান্ধী নামে ছোট্ট ছেলেটি এবং তার পরিবার হতবাক হয়ে যায়। পুলিশ হাজির হয় তাদের বাড়ির দরজায়।

দরজা খুলতেই পুলিশকর্মীরা কেকটি ছোট্ট সাবির সিংয়ের হাতে তুলে দেন। তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। কেকের ওপর আবার সাবিরের নামও লেখা ছিল। পুলিশের এমন মানবিক পদক্ষেপে অবাক এবং আপ্লুত হয়ে যায় ওই পরিবার। স্টেশন হাউস অফিসার পরে জানান, ওই ছোট্ট ছেলেটির বিশেষ দিনে তাকে সারপ্রাইজ দিতেই তাঁরা এই পদক্ষেপ করেন। তাঁরা সকলেই ছেলেটির জন্মদিন পালন করেন। একটি ছোট্ট ছেলের মন যাতে না ভাঙে সেদিকটা মাথায় রেখে এই কঠিন পরিস্থিতিতেও পুলিশের এমন এক অসামান্য পদক্ষেপের কথা হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *