National

ঝাড়খণ্ড হাতছাড়া বিজেপির, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারে কংগ্রেস-জেএমএম

মহারাষ্ট্রের পর ফের বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। এবার ঝাড়খণ্ড হাতছাড়া হল তাদের। পদ্ম শিবিরের জন্য এটা বড় বিপর্যয়। কোনও ত্রিশঙ্কুর প্রশ্নই নেই। নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সেখানে সরকারে বসতে চলেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেস-আরজেডি জোট। মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। হেমন্তই যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা পরিস্কার করে দিয়েছে আরজেডি।


৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪১ যে জেএমএম জোট টপকে যেতে পারে তা পরিস্কার করে দিয়েছিল বিভিন্ন এক্সিট পোলের ফলাফল। তবে সেটা ছিল একটা সমীক্ষা মাত্র। সোমবার সকালে ভোট গণনা শুরু হতেই পরিস্কার হতে শুরু করে বিজেপি ধরাশায়ী। ক্ষমতা তাদের হাতছাড়া হতে চলেছে। সেখানে ক্ষমতায় আসতে চলেছে জেএমএম-কংগ্রেস জোট। দিন যত গড়িয়েছে ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়েছে।

যা পরিস্থিতি তাতে প্রায় ১২টি আসন হারিয়েছে বিজেপি। সেখানে জেএমএম-কংগ্রেস জোট গতবারের তুলনায় ২১টি আসন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা, এজেএসইউ গতবারের তুলনায় খারাপ ফল করেছে। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস পর্যন্ত এদিন হারের মুখে পড়েন। পরে রঘুবর দাস জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডে বিজেপির হার দলের হার নয়, তাঁর নিজের হার। বিজেপি হারেনি। হেরেছেন তিনি।



সোমবার যত ফল বার হয়েছে ততই পদ্ম শিবিরে হতাশা পেয়ে বসতে থাকে। আর জেএমএম, কংগ্রেসের দফতরে হৈহৈ শুরু হয়। চলে বাজনা, নাচ, হুল্লোড়, মিষ্টিমুখ, বাজি পোড়ানো। অন্যদিকে বিজেপি শিবিরে তখন শুধুই বিষণ্ণতা। লোকসভায় ঝোড়ো জয়ের পর হওয়া প্রতিটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। কোথাও বিজেপির ঝুলিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এটা কিন্তু পদ্ম শিবিরের কপালের ভাঁজ পুরু করল। ঝাড়খণ্ডে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করেছেন। কিন্তু তার প্রতিফলন ভোট বাক্সে দেখা গেলনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button