National

স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া থামাতে গিয়ে স্বামীর হাতে খুন প্রতিবেশি যুবক

স্বামী স্ত্রী-র ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেছিলেন ২০ বছরের ওই যুবক। কিন্তু তা করার সময় তিনি বোধহয় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি এর ফল কী হতে পারে। প্রতিবেশি স্বামী-স্ত্রী রাতবিরেতে ঝগড়া করছে তাই থামানোর চেষ্টা করেন তিনি। তারপর তারা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাতে না করায় সেখান থেকে নিজের ঘরে ফিরেও আসেন সঞ্জীব পাণ্ডে নামে ওই তরুণ। তার কিছু পরেই তাঁর ঘরে হাজির হয় ঝগড়ারত ওই ব্যক্তি জিতিন বোরা। হাতে একটা ধারালো ছুরি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছুরি দিয়ে কোপাতে শুরু করে জিতিন। সঞ্জীবের বুকে ও থাইতে ছুরির কোপ বসিয়ে দেয়। তারপর সেখান থেকে চম্পট দেয়।

রক্তাক্ত অবস্থায় সঞ্জীবকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। তারপর পুলিশ আসার অপেক্ষা না করে তাঁরা সঞ্জীবকে নিয়ে এইমসে ছোটেন। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানাচ্ছে, রাত ২টোর সময় তাঁদের কাছে ফোন আসে যে এক তরুণ রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে পড়ে আছেন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। ততক্ষণে অবশ্য তাঁকে নিয়ে এইমসে চলে গেছেন স্থানীয়রা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সঞ্জীব চায়ের দোকানে কাজ করতেন। সেইসঙ্গে পার্ট টাইমে সুরক্ষাকর্মীর কাজও করতেন। থাকতেন তাঁর তুতোভাই অজিতের সঙ্গে।

দিল্লির গ্রেটার কৈলাসের জামরুদপুর এলাকায় তাঁরা যে ঘরে থাকেন সেই ঘরের লাগোয়া ঘরেই থাকে এক দম্পতি। জিতিন বোরা ও রুক্মিণী দেবী। রুক্মিণী দেবী বাড়ি বাড়ি কাজ করেন। জিতিন একটি ফার্মহাউসে হাউস কিপার। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শনিবার রাতে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। সেই ঝগড়া থামাতে পাশের ঘর থেকে ছুটে যান সঞ্জীব। স্বামী-স্ত্রী তখন তাঁকে সাফ জানান এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার। এরমধ্যে তিনি যেন নাক না গলান। তারপরই ঘরের ফেরার পর সঞ্জীবকে কোপান হয়। অভিযুক্ত জিতিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *