National

মেসোর যৌন লালসায় অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী

সংসারে অভাব। তার ওপর স্বামীর মৃত্যুতে মাথার ওপর থেকে সরে গেছে আর্থিক নিশ্চয়তার ছাদ। তাই মেয়েকে মাসির কাছেই পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তার মা ও দিদা। তাঁরা ভেবেছিলেন, আর্থিকভাবে সচ্ছল বোনের বাড়িতে থেকে মেয়ে লেখাপড়া শিখতে পারবে। সেখানে তার খাওয়া-পরার অভাবও হবেনা। তাই ৭ মাস আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১৩ বছরের কিশোরীকে পাঠানো হয় মাসির বাড়ি। হরিয়ানার শাহজাদপুর তহশিলের জাগুমাজরা গ্রামে কিশোরীর মাসির বাড়ি। কিশোরীর দাবি, সে হিন্দি জানত না। তাই মাসির বাড়িতে গিয়ে পড়াশোনা আর করা হয়ে ওঠেনি তার। সারাক্ষণ বাড়িতেই থাকত সে। অভিযোগ, ৫ মাস আগে ফাঁকা বাড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার মেসো। ধর্ষণের কথা কাউকে না জানাতে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ কিশোরীর।

পুলিশকে সে জানিয়েছে, ৫ মাস পর পেটে ব্যথা হওয়ায় তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় তার মাসি। কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার পর তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করেন চিকিৎসক। কিশোরীর মায়ের দাবি, লোক জানাজানির ভয়ে সেইসময় গোটা বিষয়টা চেপে যায় তার বোন ও ওই চিকিৎসক। পরে নিগৃহীতা কিশোরী গোটা বিষয়টি এক প্রতিবেশিকে জানায়। তিনি খবর দেন শিশু কল্যাণ দফতরে। পুলিশ ও দফতরের আধিকারিকরা এসে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে উদ্ধার করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার কিশোরীর মেসো, মাসি ও চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *