National

৩ কিশোরের লালসার শিকার বালিকা, ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার অভিযোগ

নির্ভয়ারা আজও ধর্ষিত হয়। অসমের নওগাঁয়ের নারকীয় ঘটনা তারই প্রমাণ দিল। নওগাঁও থানার ধানিয়াভেতি লালুন গ্রামে ৩ কিশোরের কামনার আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক বালিকার। গত শুক্রবারের ঘটনা। বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিল পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী। বাড়িতে সে একাই ছিল। অভিযোগ, সে সময় ফাঁকা বাড়িতে ওই বালিকার ওপর চড়াও হয় এক কিশোর। ফাঁকা বাড়িতে তাকে ধর্ষণ করে সে। তার দুই সঙ্গীও পালা করে পাশবিক অত্যাচার চালায় বালিকাটির ওপর। তাদের একজনের বয়স ১০, আরেকজনের ১১। গণধর্ষণের পর কুকীর্তির প্রমাণ লোপাট করতে মেয়েটির গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় অভিযুক্তেরা। তারপর তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় তারা। আগুনে ঝলসে যেতে থাকা মেয়েটির আর্ত চিৎকার শুনে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। নির্যাতিতার শরীরের ৯০ শতাংশই ঝলসে গিয়েছিল। তবু তাকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন গুয়াহাটি মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা। তাঁদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে গত শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় ওই বালিকার। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষিপ্ত জনতা ব্যাপক ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তদের বাড়িতে। পলাতকদের অবিলম্বে ধরার দাবিতে রাতভর বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিচিতরা।

মৃত্যুর আগে গণধর্ষকদের পরিচয় বাড়ির লোককে জানিয়েছিল মেয়েটি। এর ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃতেরা। ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি পারিবারিক বিবাদের মাশুল দিতে হল ওই বালিকাকে তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *