World

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে হাঁপাতে শুরু করল প্যাকেটবন্দি মৃতদেহ

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছিল। প্যাকেটে বন্দি অবস্থায় একধারে রাখা ছিল মৃতদেহটি। এমন সময় মৃতদেহটি হাঁপাতে শুরু করে। যা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে।

তাঁকে ভাল করে পরীক্ষা করে তারপর মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করার পর তাঁর পরিবারের সকলে শোকে ভেঙে পড়েন। সেটাই স্বাভাবিক।

অন্যদিকে ৬৬ বছরের ওই বৃদ্ধার দেহ প্যাকেটবন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় অন্ত্যেষ্টির জন্য। সেখানে একটি জায়গায় প্যাকেটবন্দি দেহটি রাখা হয়। শুরু হয় শেষকৃত্যের বন্দোবস্ত।

এমন সময় ওখানে একজনের নজরে পড়ে দেহটি হাঁপাচ্ছে। আপ্রাণ লড়াই করছে একটু বাতাসের জন্য। প্রাথমিক ভীতি কাটিয়ে সকলে দ্রুত প্যাকেট খুলে দেন।

দেহ মুক্ত হাওয়া পেতে বৃদ্ধা মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। তাঁর ফুসফুস ওঠানামা শুরু করে। যা রীতিমত নজরে পড়ছিল সকলের।

দেহটি পরীক্ষার পর বোঝা যায় দেহে প্রাণ রয়েছে। সাময়িকভাবে সব স্তব্ধ হয়ে গেলেও তিনি তখন নিঃশ্বাস নেওয়ার আপ্রাণ লড়াই চালাচ্ছেন।

দ্রুত তাঁকে ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসকদের হাতে পড়লে ক্রমে তাঁকে সুস্থ করে তোলার লড়াই শুরু করেন চিকিৎসকেরা।

মৃতদেহ বেঁচে ওঠার এই ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার আইওয়ায়। যদিও চিকিৎসকদের অনেক চেষ্টার পরও ওই বৃদ্ধাকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি।

তবে মৃত্যুর আগেই এভাবে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করার অভিযোগে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করেছে প্রশাসন। ১০ হাজার ডলার জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে ওই হাসপাতালকে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *